পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী সিপিআইএম প্রার্থীকে ‘অন্যায়’ভাবে গ্রেফতার করার অভিযোগ উঠলো পুলিশের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পাক্কা একমাস পর শুক্রবার পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের দিন গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকেই সিপিআইএমের জয়ী প্রার্থী আব্দুল জব্বরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁর গ্রেফতারিকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর গ্রামে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে ব্যাপক বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নন্দকুমার ব্লক গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৩টি। গত মাসের নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েত থেকে তৃণমূল ১১টি আসনে, সিপিআইএম ৫টি আসনে, বিজেপি ৫টি আসনে এবং সিপিআইএম সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা ২টি আসনে জয়ী হয়। শুক্রবার ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের কথা ছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিপিআইএমের জয়ী প্রার্থী আব্দুল জব্বরকেই ওই পঞ্চায়েতের প্রধান বানাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরস্পরের হাত ধরেছিল বাম, বিজেপি ও নির্দল প্রার্থীরা। এদিন সকালে বোর্ড গঠনের জন্য জয়ী প্রার্থীরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এসে পৌঁছেছিলেন। সেখান থেকেই নন্দকুমার থানার পুলিশ আব্দুল জব্বরকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্বাচনের সময় দায়ের করা একটি মামলায় আব্দুল জব্বরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু জব্বরের গ্রেফতারির পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় মানুষ। সিপিআইএম নেতাকে ‘অন্যায়’ভাবে গ্রেফতার করায় ক্ষিপ্ত বাম-বিজেপি সমর্থকেরা পুলিশকে ঘিরে ব্যাপক প্রতিবাদ দেখান। ভাঙচুর করা lহয় পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি, অবরোধ করা হয় রাস্তা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ায় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকেও ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা শান্ত না হয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত উত্তেজিত জনতার উপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়ির মধ্যে ঢুকে মারধর করেছে পুলিশ। তাঁদের আরও অভিযোগ, জব্বর যাতে প্রধান না হতে পারেন, সেই জন্য তৃণমূলই কাজে লাগিয়েছে পুলিশকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন