পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ। আর সেই অভিযোগে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করতে পৌঁছয় পুলিশ। যা নিয়ে শুরু হয় জোর চর্চা। ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাঁকে কেন মধ্যরাতে গ্রেফতার করতে আসে পুলিশ! ইতিমধ্যে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ এই প্রতিবাদী শিক্ষক।
তাঁর দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে আদালত তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। সম্ভবত আজই এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে বিকাশ ভবনের সামনে প্রকাশ্যে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঁচ শিক্ষিকা। এই ঘটনাতে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। কয়েকজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
ঘটনা ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিজেপির ক্যাডার বলে উল্লেখ করেন। আর এই ঘটনার পরেই শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক মইদুলের বিরুদ্ধে একাধিক ধারাতে মামলা হয়। খুনের চেষ্টা। খুনের প্ররোচনা দেওয়া সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারাতে এই মামলা করা হয়েছে। আর এরপরেই বৃহস্পতিবার রাতে মইদুলের বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা নাগাদ নিউটাউন নর্থ থানা ও বেলেঘাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে যায়। সেসময় বেলেঘাটা ৫১/বি/ এইচ চাউল পট্টি এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে ছিলেন মইদুল। ওটি মইদুল ইসলামের শ্বশুড়বাড়ি। গভীর রাতে কেন ওয়ারেন্ট, নোটিশ ছাড়া তাঁকে গ্রেফতার করতে পুলিশ? তা নিয়ে সরব হন এই শিক্ষক নেতা।
প্রায় দুঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই নাটক। বারবার পুলিশের তরফে মইদুলকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার কথা পুলিশের তরফে জানানো হলেও আসেননি তিনি। বাড়ির সামনে রাতভর পুলিশের পাহাড়া ছিল। সকাল থেকেও তা রয়েছে। বাড়িতে রয়েছেন মইদুল। তবে এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে মইদুল জানিয়েছেন, আমরা শিক্ষক কোনো অন্যায় করিনি। রাত ১১ টা থেকে ২০০ র বেশি পুলিশ আমার বেলেঘাটার শ্বশুরবাড়ি ঘিরে রেখেছে। প্রশাসন শিক্ষক আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছে। আর সেই কারনে এই পদক্ষেপ বলে দাবি তাঁর। শুধু তাই নই, মইদুল আরও জানিয়েছেন, এই লড়াই আমরা জিতব। রুটি রোজগারের লড়াই এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার এই ঘটনার আগেই একমাত্র ওয়ান ইডিয়াতে মইদুল জানিয়েছিলেন, প্রকাশ্যে বিষ খাওয়ার ঘটনাতে দুই শিক্ষিকা বাড়ি চলে গেলেও শারীরিক ভাবে তাঁরা অসুস্থ। অন্যদিকে আরজিকরে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন পুতুল মন্ডল। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। যদিও চিকিৎসকরা তাঁকে সারিয়ে তুলতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন