আনিসকান্ডের মতোই তুহিনা খাতুনের আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী মূল অভিযুক্তকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

বাদশাকে বর্ধমান শহরের কার্জন গেটের কাছে বিধায়কের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তুহিনাকান্ডের প্রধান অভিযুক্তকে পুলিশ ধরতে পারছে না, তার প্রধান কারণ শাসকদলের চাপ।
আনিসকান্ডের মতোই তুহিনা খাতুনের আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী মূল অভিযুক্তকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ
ফাইল - চিত্র
Published on

পুলিশ ছাত্রনেতা আনিস খানের খুনিদের খুঁজে পাচ্ছে না।একইভাবে তুহিনা খাতুনের আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও নির্যাতনের জন্য মূল অভিযুক্ত বাদশা শেখকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনটাই জানিয়েছেন বর্ধমান থানার পুলিশ। আইসি জানান, বাদশাকে ধরতে পারলে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হবে।

অথচ ঘটনার পরদিন বাদশাকে বর্ধমান শহরের কার্জন গেটের কাছে বিধায়কের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তুহিনাকান্ডের প্রধান অভিযুক্তকে পুলিশ ধরতে পারছে না, তার প্রধান কারণ শাসকদলের চাপ।

তুহিনার পরিবারের অভিযোগ, শাসক দলের স্থানীয় কাউন্সিলরের মদতেই ওই ছাত্রীর উপর অত্যাচার করা হয়। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পায়, তার দাবিও জানানো হয়। তুহিনার মতো কন্যাশ্রীরা কীভাবে হিংসার বলি হচ্ছেন, তা এই ঘটনা প্রমাণ করে। ঘটনার ৫-৬ দিন পরেও দেওয়ালে আঁকা তিন বোনের গাছে ঝোলার ছবি মোছেনি পুলিশ ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

প্রসঙ্গত, বর্ধমান রাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তুহিনা খাতুন। পুরভোটের ফল প্রকাশের দিনই বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তুহিনা খাতুনের (১৯) দেহ। তুহিনার বাড়ি যেখানে, সেই ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে ভোটে জেতেন শেখ বসিরুদ্দিন ওরফে বাদশা, যিনি এলাকায় দাগী তোলাবাজ হিসেবে পরিচিত।

তুহিনার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটে জেতার পরই এলাকায় বোমাবাজি শুরু করেন বাদশা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাসাতে থাকেন। তুহিনার বাড়িতেও যান বাদশা। সেই সময় বাড়িতে তুহিনা ও তাঁর দুই বোন ছাড়া কেউ ছিল না। এর কিছুক্ষণ পরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তুহিনার।

জানা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই তুহিনা ও তাঁর দুই বোনকে উত্তক্ত করতেন বাদশা। ভোটে জিতলেই ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল তুহিনাকে। আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি তুহিনার বাড়ির পাশে একটি দেওয়ালে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তিন মেয়ের একটি কার্টুন এঁকে দিয়েছিলেন বাদশার অনুগামীরা।

যদিও ওই ছবি মুছে দেওয়ার কোনও তাগিদ রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা পুলিশ-কারওর পক্ষ থেকেই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তাই ওই ছবি এলাকায় দেওয়ালেই রয়ে যায়। এলাকাবাসী ও পরিবারের বক্তব্য, কেন পুলিশ ওই ছবি মুছে দিল না?

আনিসকান্ডের মতোই তুহিনা খাতুনের আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী মূল অভিযুক্তকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ
Burdwan: মূল অপরাধী বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সুবিচারের অপেক্ষায় তুহিনা খাতুনের দিদি

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in