Sandeshkhali:সন্দেশখালিতে বিজেপির প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে দিলনা পুলিশ, উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড তৃণমূলের

People's Reporter: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সর্দারকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।
শনিতেও উত্তপ্ত সন্দেশখালি
শনিতেও উত্তপ্ত সন্দেশখালিছবি সৌজন্যে ভিডিওর স্ক্রিনশট
Published on

উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। শুক্রবার রাত থেকে গোটা সন্দেশখালি এলাকাতে পুলিশ টলহদারি চলছে। শনিবার সকাল থেকে থমথমে গোটা সন্দেশখালি। বন্ধ দোকানপাঠ। এই আবহে এদিন সন্দেশখালিতে পৌছায় বিজেপি প্রতিনিধি দল। গ্রামে প্রবেশ করতে না দেওয়া বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাঁধে।

অন্যদিকে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সর্দারকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই বর্তমানে ফেরার উত্তমকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার বিকেলে শেখ শাহজাহানের 'নিজস্ব বাহিনী'কে তাড়িয়ে দেওয়ার পর অনেকটাই সাহস ফিরে পেয়েছেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে লাঠি, বাঁশ নিয়ে পথে নামেন তাঁরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহজাহান, শিবুপ্রসাদ ও উত্তম সর্দারের গ্রেফতারির দাবিতে থানা ঘেরাও করেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও একই চিত্র দেখা যায় সন্দেশখালিতে। এদিন সন্দেশখালির পাশাপাশি জেলিয়াখালিতেও একই চিত্র দেখা গেছে। গ্রামের মহিলারা লাঠি, বাঁশ নিয়ে গিয়ে শিবুপ্রসাদের পোলট্রি ফার্ম ভেঙে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছু সময় পরে সন্দেশখালিতে শিবুপ্রসাদের বাগান বাড়িতে গিয়ে বাড়ির একাংশ আগুন ধরিয়ে দেয়। তাঁদের অভিযোগ, ওই তিন নেতাকে গ্রেফতার করতে হবে।

এই বিক্ষোভ রুখতে ১৪৪ ধার জারি করা হয়েছে গোটা গ্রামে। শনিবার সকাল থেকেই থম্থমে গোটা গ্রাম। কিন্তু ফের বিক্ষোভ শুরু হয়। অভিযোগ, শুক্রবার সন্দেশখালি থানার সিতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ভুজঙ্গ দাসের বাড়িতে চড়াও হয় কয়েক জন। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকি, ঘর থেকে বাইরে এনে ভুজঙ্গকে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভ সরিয়ে দেয়। এলাকায় মাইকিং চালাচ্ছে তারা।

আর সন্দেশখালির গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নবদ্বীপ জেলার বিজেপি পর্যবেক্ষক কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, বসিরহাট জেলা বিজেপির সভাপতি তাপস ঘোষ এবং বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার-সহ ২৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি ঢুকতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। রামপুরের কাছে আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলে দীর্ঘ ক্ষণ।

বিজেপি নেতৃত্বের দাবি ছিল, অন্তত তাঁদের মধ্যে থেকে চার জনকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হোক। পুলিশ তাদের জানায়, ১৪৪ ধারা জারি করা এলাকায় কোনও ভাবেই কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। তাঁরা গ্রামে গেলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। শেষ পর্যন্ত গ্রামে ঢুকতে না পেরে রামপুর থেকেই ফিরতে হয় বিজেপির প্রতিনিধি দলকে। 

শনিতেও উত্তপ্ত সন্দেশখালি
CAA: লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন! হুঁশিয়ারি অমিত শাহ-র

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in