বামেদের 'আইন অমান্য' কর্মসূচী ঘিরে রণক্ষেত্র পূর্ব বর্ধমান। পুলিশের সাথে বামপন্থী নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কার্জন গেট চত্বর। উপড়ে ফেলা হল বিশ্ববাংলার লোগো। ভেঙে ফেলা হয় ব্যারিকেড। এরপরেই কার্জন গেটের কাছেই সিপিআই(এম) কর্মী-সমর্থকদের মিছিলের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। কার্জন গেট চত্বর থেকে সিপিআইএম নেতা আভাষ রায়চৌধুরী সহ শতাধিক বাম কর্মী সমর্থককে আটক করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করেন, "পুলিশ কোনও প্রোটোকল মানেনি। আমরা পুলিশকে বলেছি, আপনাদের দেখলেই মানুষ রেগে যাচ্ছে। কে চুরি করেছে সেটা পুলিশ দেখে না। পুলিশ তো লুকিয়ে ছিল। তারপর পুলিশ কাঁদানে সেল ছোঁড়ে, লাঠিচার্জ করে। চার্জ চার্জ বলে প্রোভোক করছিল পুলিশ।"
বুধবার, রাজ্যের তিন জেলা পূর্ব বর্ধমান, হুগলি এবং ঝাড়গ্রামে সিপিআই(এম)-র ডাকে আইন অমান্য কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব বর্ধমানের দুটি মিছিলের একটির নেতৃত্বে ছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিকেল সাড়ে তিনটের সময় সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের পথসভার পর মিছিল শুরু হয়। এছাড়াও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন, আভাষ রায়চৌধুরী, অঞ্জু কর সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। 'চোর ধরো, জেল ভরো' স্লোগান তুলে রাজ্যের শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এদিন তিন জেলায় পথে নামে বামেরা।
সিপিআই(এম)-র অভিযোগ, পূর্ব বর্ধমানের কার্জন গেটের দিকে মিছিল এগোতেই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। দফায় দফায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয় বাম কর্মীদের। ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগোতে শুরু করলে বাম কর্মী-সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।
পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি এবং বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বহু বাম-কর্মী সমর্থক। পরিস্থিতি কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণে না আসায় জলকামান চালানো হয়। বেশকিছু আন্দোলনকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন