বজবজে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর তদন্তে নামে ডিএসপি নিরুপম ঘোষের নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি দল। তারপরই প্রায় ২০ হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় ৩৪ জনকে আটক করেছে মহেশতলা থানা ও বজবজ থানার পুলিশ।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বিস্ফোরণের পর রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের নন্দরামপুরের দাস পাড়ায় বাজির গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সোমবার এই ঘটনার তদন্তে নামে মহেশতলা থানা ও বজবজ থানার পুলিশ। মহেশতলা, বজবজ ও নুঙ্গির একাধিক বাজির দোকানে ও বন্ধ থাকা গুদামে অভিযান চলে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার কেজির নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত অবৈধ বাজি ব্যবসার জন্য ৩৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার তোলা হতে পারে আলিপুর আদালতে। বহু বাজি ব্যবসায়ী পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। অনেকে অভিযোগ করছেন, যখন কিছু হয় তখন পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়ে। অন্য সময় দেখা যায় না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার রাত আটটা নাগাদ বজবজের বাজি কারখানার গুদামে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে মা ও মেয়ে সহ দুজনের মৃত্যু হয়। তৃতীয় অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হসাপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বাজি কারখানার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। তাঁরা বলেন, আগুন লাগার ফলে ওই ঘরের টিন ভেঙে পড়ে মা ও মেয়ের ওপর। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। আগুন লাগার কারণ কী তা জানতে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে ফরেনসিক টিম। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে সিআইডি-র একটি দল। তাঁরা বিস্ফোরণ স্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাব্দ করতে পারেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন