'অশান্ত' ভাঙড়ে ঢুকতে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। রাজারহাটে তাঁর গাড়ি আটকানো হয়। ২ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন নওশাদ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকেই অশান্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। গণনার পর কাঁঠালিয়ায় তিনজন আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়। নিহত কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তিনি। হাতিশালা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কেএলসি থানা ও টেকনো সিটি থানার পুলিশ ব্যারিকেড করেছে। সকাল ১০টা নাগাদ এই ব্যারিকেড করা হয়েছে। নওশাদ সিদ্দিকি নিজের অবস্থানের অনড় রয়েছেন।
ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক ভাঙড়ের সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। গতকালও তৃণমূলের নেতারা ভাঙড়ে রীতিমতো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করেছে। প্ররোচনামূলক বক্তব্য দিয়েছে। তাতে কোনো দোষ নেই। আমি আমার কর্মীদের সাথে দেখা করতে চাইলে দোষ? এখনও আমাদের জেলা পরিষদের প্রার্থী জাহানারা খাতুন নিখোঁজ রয়েছেন। পুলিশ সেইসব কাজ না করে আমাকে আটকাচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের তরফ থেকে একটা নোটিশ দিয়ে বলা হয়েছে কয়েকজন ছাড়া আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এখানে কারুর নামই নেই। আমাকে ভাঙড় ঢুকতে না দিলে এখানেই থাকবো। আমি এলাকার বিধায়ক। আমাকে যেতেই হবে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। দেখি কতক্ষণ আমাকে আটকে রাখতে পারে।
পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। নাকা চেকিং চলছে। এটা নিয়মের মধ্যেই পড়ে। বিধাননগর কমিশনারেটের সাথে যুক্ত ভাঙড়ের প্রতিটি নাকা পয়েন্টে কিছু ব্যাতিক্রমী ব্যক্তি ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একটি তালিকা রয়েছে তাতে নওশাদ সিদ্দিকির নাম নেই। তাই যেতে দেওয়া হবে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন