নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোরে উত্তাল রাজ্য। বুধবার রানিচকে এক হরিনাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান থেকে বেরোনোর সময় তিনি পড়ে গিয়ে চোট পান। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁকে চার পাঁচ জন ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছেন। এরপরেই দ্রুত তাঁকে গ্রিন করিডর তৈরি করে কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয়। আপাতত তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর পড়ে যাওয়ার ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন – “আগে অসংখ্যবার তৃণমূল নেত্রী পালে বাঘ পড়েছে বলে রব তুলেছিলেন। আজকের ঘটনা আবার প্রমাণ করল মমতা ব্যানার্জি আছেন মমতা ব্যানার্জিতেই। আমরা যে কোনো আক্রমণের ঘটনারই নিন্দা করি। কিন্তু উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, উনি যখন জেলায় যান তখন আশেপাশের পাঁচটা জেলার পুলিশ পরিবেষ্টিত হয়ে থাকেন। তার মধ্যে আক্রমণের ঘটনা ঘটেই বা কি করে! এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।”
ওই বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন – “অনেকেই মনে করেছিলেন এবারও গুন্ডামি, মস্তানি করে নির্বাচনে জিতবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গুন্ডামি, মস্তানি ঘটেনি। এখন হিংসার নাম করে ভাগ করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক যেমন হিন্দু-মুসলমানের নামে ভাগ করার চেষ্টা বিজেপি-তৃণমূল দু’পক্ষ মিলেই করে চলেছে। মানুষ এসব ভাগাভাগির চেষ্টা মেনে নেবেন না। তেমনই বিশ্বাস করবেন না মমতা ব্যানার্জির আক্রান্ত হওয়ার কাহিনী।”
মুখ্যমন্ত্রী পড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যও। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিতে পারেন।
এদিনই এস এস কে এম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে এসে তৃণমূল সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। উত্তেজিত তৃণমূল সমর্থকরা তাঁকে দেখেই ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি তোলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ে যাবার ঘটনার কথা জানাজানি হতেই একাধিক জেলায় পথ অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন