অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় মিড-ডে মিল - কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রিপোর্টকে নস্যাৎ ব্রাত্যর

People's Reporter: ব্রাত্য লিখেছেন, খালি পায়ে বাচ্চাদের দেখেছে কেন্দ্রীয় দল। এটা ভিত্তিহীন। অনেক বার মিড-ডে মিলের কেন্দ্রীয় সরকারের অংশের টাকা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি। কেন্দ্র তা পূরণ করেনি।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় মিড-ডে মিল - কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রিপোর্টকে নস্যাৎ ব্রাত্যর
গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

মিড-ডে মিল দেওয়া হলেও তা রান্না হচ্ছে সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলা আকাশের নীচে। পড়ুয়াদের পায়ে না আছে জুতো, না আছে চটি। বাকুঁড়া ও পুরুলিয়ার অধিবাসী অধ্যুষিত এলাকা পরিদর্শন করে বুধবার এমনই এক প্রেস বিবৃতি জারি করল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। তবে এই বিবৃতির পাল্টা দিতে ছাড়েননি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

উল্লেখ্য, গত ৮ ও ৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ওই দুই জেলায় কেন্দ্রের তরফ থেকে ১৮ জনের প্রতিনিধি দিল পাঠানো হয়। তারা ওই এলাকার বিভিন্ন প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং কলেজে শিক্ষার অবস্থা, পরিকাঠামো ঘুরে দেখে যে রিপোর্ট দিয়েছে। সেখানেই উঠে এসেছে এই অভিযোগ।

ওই প্রতিনিধি দলের পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, স্কুলে পরিশ্রুত পানীয় জল নেই। বেশ কিছু স্কুলে নেই পাঁচিল। ছাত্রছাত্রীরা খালি পায়ে স্কুলে যাচ্ছে। অথচ এই মরশুমে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পরে রাজ্যের ওই দুই জেলায়। শৌচালয় তৈরি হলেও বেশিরভাগ স্কুলে তার রক্ষণাবেক্ষণ নেই। কিছু স্কুলে নির্ধারিত খাদ্যতালিকা মেনে মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে না। কিছু স্কুলে খোলা আকাশের নীচে মিড-ডে মিলের রান্না হচ্ছে। সেখানে রান্নাঘর নেই।

উচ্চ বিদ্যালয়ে স্মার্ট ক্লাস তৈরি করে সেখানে ৫-১০ কম্পিউটার থাকলেও তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। নয়া সিস্টেমের বদলে পুরনো বাতিল সিস্টেম দিয়ে কম্পিউটার চালানো হচ্ছে। এর ফলে নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের কম্পিউটার চালাতে সমস্যা। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হলেও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রশিক্ষণেরও অভাবের কথা ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে।

যদিও এই রিপোর্টটির বেশিরভাগই গেরুয়া রং দ্বারা প্রভাবিত বলে মনে করছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার, ব্রাত্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “খালি পায়ে বাচ্চাদের দেখেছে কেন্দ্রীয় দল। এটা ভিত্তিহীন। তারা জানে না, এখানে সমস্ত পড়ুয়াদের জুতো থেকে শুরু করে স্কুল পোশাক দেওয়া হয়। অনেক বার মিড-ডে মিলের কেন্দ্রীয় সরকারের অংশের টাকা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্র তা পূরণ করেনি। কোনও চিন্তা নেই। যে স্কুলগুলোতে রান্নাঘরের কোনও শেড নেই, আমাদের কাছে যেটুকু তহবিল আছে তা দিয়েই তার কাজ শুরু হয়েছে।“

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় মিড-ডে মিল - কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রিপোর্টকে নস্যাৎ ব্রাত্যর
মাত্র ২২৬ টাকায় সি টি স্ক্যান! ন্যায্য মূল্যে ডায়াগনস্টিক সেন্টার উদ্বোধন কলকাতা পৌর সংস্থার

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in