কেন্দ্রের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ায় এবার নাম ঢুকেছে কলকাতা বন্দরেরও। ২০২০ সালে ১৫০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নতুন নাম ঘোষণা করেছেন। আর ২০২২ সালে শুরু করলেন সেই বন্দরের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া। কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের বার্থ-সহ বর্তমানে বিভিন্ন রকম প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী পোর্ট কর্তৃপক্ষ এবার ধাপে ধাপে ধাপে বেসরকারি হওয়ার দিকে এগোচ্ছে।বেসরকারিকরণ শুরু হচ্ছে কলকাতা বন্দরের নিজস্ব হাসপাতাল দিয়ে। এসএমপির চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানান, বন্দরের বেসরকারিকরণের মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক হাসপাতালের সঙ্গে তৈরি হবে মেডিক্যাল কলেজও। গোটাটাই পিপিপি মডেলে (সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে)। প্রসঙ্গত, সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বছরে ১২০ কোটি টাকা লাভ করেছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী পোর্ট। আগেরবারের তুলনায় প্রায় ১৬ কোটি বেশি।
বন্দর সূত্রের খবর, বেসরকারি বিনিয়োগে ৩০০ বেডের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হবে। তার জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। মাঝেরহাটে ডায়মন্ডহারবার রোডে প্রায় ৮ একর জমিতে বন্দরের নিজস্ব হাসপাতালে বেড সংখ্যা ১৫০। বন্দরের বর্তমান কর্মী-আধিকারিক (সরাসরি নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক-সহ) এবং অবসরপ্রাপ্তরা এখানে নিখরচায় চিকিৎসা করাতে পারেন। তাঁদের পরিবারের চিকিৎসাও হয় সেখানে। মোটামুটি আধুনিক মানের ব্যবস্থা রয়েছে।
বন্দরের সিটু অনুমোদিত কর্মী ইউনিয়নের নেতা সমরেন্দ্র মণ্ডল জানান, ‘হাসপাতালের বেসরকারিকরণ হলে কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের চিকিৎসা পরিষেবা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। আমরা এব্যাপারে আপত্তি জানাব।’ যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে যে, বর্তমান কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তরা আগের মতোই চিকিৎসা পাবেন।
এদিকে, কলকাতা বন্দরের খিদিরপুর ডকে মোট ছ’টি বার্থের সাজে বেসরকারি বিনিয়োগ হবে। প্রথম পর্যায়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ। জলপথে পর্যটন প্রসারের জন্য কলকাতায় জেটি তৈরি করে নদী তীরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পেও সেই মডেল আনার ভাবনাচিন্তা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। হলদিয়া বন্দরের ৫ নম্বর বার্থটির জন্য শীঘ্রই টেন্ডার ডাকা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন