ভোট-পরবরর্তী হিংসা তদন্তে শুক্রবার সিবিআই ফের যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি হত্যা মামলায় তিনজনের নাম রয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে, এই মামলায় নাম নেই তৃণমূল নেতা তথা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের। স্বাভাবিকভাবেই তার নাম না থাকা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট শোরগোল পড়েছে। উঠছে নানা প্রশ্ন। রাজনৈতিক যোগের দরুন তার নাম না থাকায় বিষয়টি নজর এড়িয়ে যাচ্ছে না রাজনৈতিক মহলের।
গত মে মাসে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নন্দীগ্রামের চিল্লোগ্রামের বাসিন্দা বিজেপি সমর্থক দেবব্রত মাইতি খুন হন। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নাম জড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট সুফিয়ানেরও। নিহত দেবব্রতের পরিবার মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হন। তাঁরা তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগও দায়ের করেন।
বিজেপিরও অভিযোগ ছিল, দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় তৃণমূলেরই প্রভাবশালী নেতার হাত রয়েছে। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী জনসভায় হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘অপরাধীদের প্রত্যককে খুঁজে বের করা হবে।’ ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর শেখ সুফিয়ান-সহ আরও দুই তৃণমূল নেতাকে তলব করা হয়।
তদন্তকারীদের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়ে চারঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে সুফিয়ান জানান, বিজেপি বিধায়কের অঙ্গুলিহেলনেই সুফিয়ানকে তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, নিহত দেবব্রত মাইতি তৃণমূলের সমর্থক।
শুক্রবারের চার্জশিটে দেখা যায়, সন্দেহভাজনের তালিকা থেকেও বাদ গিয়েছেন সুফিয়ান-সহ অন্য দুই তৃণমূল নেতার নাম। অবশ্য তিনটি নতুন নাম যুক্ত হয়- শেখ ফতেনুর, শেখ মিজানুর ও শেখ ইমদুলাল ইসলাম। তবে এদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর এজেন্ট ও দুঁদে তৃণমূল নেতৃত্ব বলেই কি এই ‘বাতিল’? তবে এ-বিষয়ে খোদ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কোনও মন্তব্য করেননি। বিজেপিরও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন