পুজোর সময় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে আজ বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে একটি বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব, ম্যানেজিং ডিরেক্টর সহ দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিকগণ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিইএসসি, কোল ইন্ডিয়া, রেলওয়ে, ইসিএল, ডিভিসি, বিসিসিএল, এমসিএল এর অধিকারিকগণ।
বৈঠক শেষ হওয়ার পর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সচিব পি.বি.সেলিম ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর শান্তুনু বসু একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান যে - আগাম পূজো প্রস্তুতিতে তৎপর রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর, পুজোর সময় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য বিদ্যুৎ দপ্তর এর পক্ষ থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর এর মধ্যে সমস্ত মেরামতির কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ করতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। পুজোর সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখার জন্য কলকাতা শহরে সিইএসসির ১৭০টি হাই-টেনশন ও লো-টেনশন মোবাইল ভ্যান থাকবে।
সারা বাংলা জুড়ে WBSEDCL এর লো-টেনশন ভ্যান থাকবে ১৪৮৫ টি। আর হাই-টেনশন ভ্যান থাকবে ৮৩৪ টি। মোট ২৩১৯ টি ভ্যান থাকবে। এবছর পূজোতে সমস্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র মিলিয়ে বিদ্যুৎ এর চাহিদার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তৃতীয়াতে ৮৮১০ মেগাওয়াট। চতুর্থীতে ৮৮৩০ মেগাওয়াট। পঞ্চমীতে ৮৩৮০ মেগাওয়াট। ষষ্ঠীতে ৮৯০০ মেগাওয়াট। সপ্তমীতে ৮৪৫০ মেগাওয়াট। অষ্টমীতে ৮০৩০ মেগাওয়াট। নবমীতে ৭৭০০ মেগাওয়াট। আর দশমীর দিন ৭৩৫০ মেগাওয়াট।
পুজোর সময় পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত বিদ্যুৎ ভবন রাজ্যের সমস্ত জেলা ও জনগুলিতে ২৪ ঘন্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। এই কন্ট্রোল রুমের নম্বর গুলি পুজোর আগেই সংবাদপত্রগুলিতে বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে দিয়ে দেওয়া হবে। কয়লার ঘাটতি যাতে না হয় তার জন্য বিদ্যুৎ সচিব পি বি সেলিম জানান পি ডি সি এল -এর ছটা কয়লা উত্তোলন কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটা কয়লা উত্তোলন কেন্দ্র থেকেই কয়লা পাওয়া যাবে। তাই কয়লার কোনো ঘাটতি থাকবে না। ৬০ শতাংশ নিজস্ব কয়লা উত্তোলন কেন্দ্র থেকেই কয়লা পাওয়া যাবে। আর বাকি ৪০ শতাংশ অন্যান্য কয়লা উৎপাদন কেন্দ্র থেকে কয়লা পাওয়া যাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন