করোনা আক্রান্ত সন্দেহে গ্রামের শ্মশানে সৎকার করতে বাধা, এগিয়ে এলেন রেড ভলান্টিয়াররাই

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে গ্রামের বাসিন্দা হরিপদ চৌধুরীর। এমন সন্দেহে দেহ সৎকার করতে বাধা দেওয়া হয় গ্রামের শ্মশানে। ঘটনাটি খড়গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার পশ্চিমপাত্রী গ্রামের।
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে গ্রামের শ্মশানে সৎকার করতে বাধা, এগিয়ে এলেন রেড ভলান্টিয়াররাই
ছবি- রেড ভলান্টিয়ার অফিসিয়াল পেজ
Published on

রয়েছে দুয়ারে সরকার। রয়েছে মৃতদেহ সৎকারের জন্য সমব্যথী প্রকল্প। তাতে ২ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও প্রতিশ্রুতিতে রয়েছে। কিন্তু সবই যেন বিজ্ঞাপনের ভাষা। বাস্তবে সৎকার করতে গিয়ে এসব কোনও পরিষেবাই না পেয়ে সমস্যায় পড়ল এক পরিবার। এমনই অভিযোগ গ্রামের। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার পশ্চিমপাত্রী গ্রামের। শেষপর্যন্ত সৎকারের দায়িত্ব নিলেন ভলান্টিয়াররাই।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে গ্রামের বাসিন্দা হরিপদ চৌধুরীর। এমন সন্দেহে তাই তাঁর দেহ সৎকার করতে বাধা দেওয়া হয় গ্রামের শ্মশানে। এগিয়ে আসেনি প্রশাসনও। পরিবারও কোনও সাহায্য পায়নি। শেষপর্যন্ত এগিয়ে এলেন গোপালি এলাকার সিপিআইএম সদস্য সন্তুরঞ্জন দে। তিনি তাঁর এক টুকরো ডাংগা জমিতে মৃতদেহ সৎকার করার অনুমতি দিলেন। ছাত্র যুব রেড ভলান্টিয়াররা সরকারের সব রকম ব্যবস্থা করেন। তারাই কাঁধে করে দেহ নিয়ে গিয়ে সৎকার করলেন।

জানা গিয়েছে, ৮১ বছরের হরিপদ চৌধুরী বাড়িতে চিকিৎসা চলছিল। একমাত্র মেয়ের বাড়িতে তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। যদিও মেয়ের মৃত্যু হয় ৬ বছর আগে। নাতি কৃষ্ণ চৌধুরীর সঙ্গে থাকতেন। দিনমজুরি করে সংসার চলত তাদের। কিন্তু করোনা মহামারী, লকডাউনে সেই রসদে টান পড়েছে। উপায়ান্তর না দেখে মুষড়ে পড়েন কৃষ্ণবাবু। লকডাউন চলাকালীন তাঁর পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছাত গোপালি রেড ভলান্টিয়ার সহায়ক কেন্দ্রে থেকেই।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in