বেসরকারি আইন ও ফার্মাসি কলেজের অনুমোদন পেতে বড় অংকের লেনদেন! ED-র নজরে পার্থ সহ কলেজের মালিকেরা

ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখার্জির দু'টি ফ্ল্যাট থেকে নগদ যে ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে তা 'শিডিউল অফেন্স'-এর অংশ বলেও আদালতে দাবি করেছে ইডি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
পার্থ চট্টোপাধ্যায়গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

শুধু বেসরকারি ডিএলএড (D.El.Ed) বা বিএড (B.Ed) কলেজ নয়, কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে রাজ্যের বেসরকারী আইন (Law) ও ফার্মেসি (Pharmacy) কলেজগুলিকেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বুধবার পিএমএলএ (PMLA) কোর্টে , ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)-এর বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)।

এদিন আদালতে রীতিমতো তথ্য প্রমাণ দিয়েই ইডি'র তরফে আইনজীবী জানান, বিপুল টাকার বিনিময়ে একাধিক বেসরকারি ল'কলেজ ও ফার্মাসি কলেজে অনুমোদন (ছাড়পত্র) দেওয়া হয়েছ। শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে অবৈধভাবে এই ছাড়পত্রগুলি দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

শুধু তাই নয়, ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখার্জির দু'টি ফ্ল্যাট থেকে নগদ যে ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে তা 'শিডিউল অফেন্স'-এর অংশ বলেও আদালতে দাবি করেছে ইডি।

বেসরকারি ডিএলএড এবং বিএড কলেজগুলোকে অনুমোদন দেওয়ার জন্য নিয়োগকাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি ও মানিক ভট্টাচার্য টাকা নিয়েছিলেন। এর আগে আদালতে তথ্য প্রমাণ দিয়েই এই অভিযোগ এনেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের বেসরকারি ডিএলএড এবং বিএড কলেজগুলিকে অনুমোদন এবং অনলাইনে ছাত্র ভর্তি জন্য কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য। এই অভিযোগ আগেই আদালতে জানিয়েছিল ইডি। এবার, সেই মামলায় তদন্তে নেমে নতুন করে আইন ও ফার্মাসি কলেজ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।

ইডি'র তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, 'কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনা খুন বা ডাকাতির মতো একটিমাত্র অপরাধ নয় যে, একবার চার্জশিট দিলেই হয়ে গেল। আরও অনেকের কাছে টাকা লুকানো আছে। সেগুলি খোঁজার চেষ্টা চলছে। এখনও টাকা লুকানো আছে বিভিন্ন কোম্পানির আ্যাকাউন্টে। সেগুলির খোঁজ চলছে। টাকা উদ্ধারের কাজ এখনও শেষ হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করেছি এই মামলায়। কিছু বেসরকারি ল'কলেজ ও ফার্মাসি কলেজ তৈরিতেও টাকার বিনিময়ে ছাড়পত্র দেওয়ার মতো ঘটনা সমানে এসেছে। সবক'টি গুরুতর অভিযোগ, তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ'।

ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বেশকিছু বেসরকারি আইন ও ফার্মেসি কলেজের প্রধানদের তলব করার পক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে ইডি। যারা নিজেদের কলেজের অনুমোদন পেতে টাকার বিনিময় করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রাজ্য সরকারের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য মধ্যস্থতাকারীদের কমিশন হিসাবে ১২ লক্ষ টাকা দিয়েছে একাধিক বেসরকারি কলেজ।

একজন ইডি আধিকারিক জানান, 'আমরা ইতিমধ্যে এই ধরনের মধ্যস্থতাকারীদের চিহ্নিত করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার প্রক্রিয়ার চলছে। এটি শেষ হলে, এই প্রতিষ্ঠানের (বেসরকারি কলেজের) প্রতিনিধিদের তলব করব আমরা। বেসরকারি আইন ও ফার্মেসি কলেজগুলির সঠিক সংখ্যা নির্ণয়ের চেষ্টা চলছে, যারা অর্থের বিনিময়ে অনুমোদন পেয়েছে।'

পার্থ চট্টোপাধ্যায়
SFI-র রক্তদান শিবিরে হামলা TMC-র, হাত থেকে চ্যানেল খুলে মার, থানা ঘেরাও করার হুমকি মীনাক্ষীর

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in