এবার বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বকেয়া ডিএ দিতে গেলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী সহ একাধিক প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আন্দোলন চালচ্ছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে বকেয়া ৩৬ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু শাসকদলের একাদিক নেতা মন্ত্রী এমনকি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও বলেছিলেন বকেয়া ডিএ দিতে গেলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী এবং স্বাস্থ্য সাথীর মতো প্রকল্পগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। খড়দহে দিদি সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে সেই একই সুরে কথা বললেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, "ডিএ-টিএ দিতে গেলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কন্যাশ্রীর টাকাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বেশ কয়েকজনের উদ্দেশ্যে তিনি এও বলেন, আপনারা একবার ভাবুন গরিবের কথা ভাবা উচিত নাকি যে টাকা পাচ্ছে তাকে আরও বেশি টাকা দেওয়া?"
বিরোধীরা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিতে গেলে সরকার দেউলিয়া হয়ে যাবে। শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নয় সরকারি কর্মীরাও সরকারের সাথে নবান্নে বৈঠকের পর বলেছিলেন ডিএ নিয়ে সরকার বলে ওনাদের যখন সংস্থান হবে তখন দেবেন। আমরা পরিষ্কার জানাই এই রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারীরা কারুর ভিক্ষার আশা রাখে না। তাঁরা তাদের অধিকারটাকে অর্জন করে নেবেন।
উল্লেখ্য, ২৮ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে দেওয়া হলো। ২২ মে থেকে গরমের ছুটি পড়বে সুপ্রিম কোর্টে। খুলবে ৩ জুলাই। তারপরেই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিয়ে টানা সাতবার পিছিয়ে গেলো শুনানি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন