শুক্রবারই প্রাথমিকে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিতি শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। বিচারপতির সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে এবার পথে নামলেন শিলিগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকারা। একাধিক প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা।
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক বেনজির নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গাঙ্গুলি। এতদিন তাঁর সমর্থনে মিছিল, প্ল্যাকার্ড নিয়ে নিজেদের হকের দাবি আদায়ে সুর চড়াতে দেখা গেছে চাকরিপ্রার্থীদের। তবে এবার অন্য চিত্র ধরা পড়লো। শনিবার শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে ধূপগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং বানারহাট থেকে বহু শিক্ষক শিক্ষিকা প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান।
তাঁদের অভিযোগ, বিচারের নামে প্রহসন হচ্ছে। এক আন্দোলনকারী জানান, "যারা ভুল করেছে তাদের ধরতে গিয়ে সকলকে দুর্নীতিগ্রস্ত বানানো হচ্ছে। পর্ষদের নিয়ম মেনেই চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন বিচারপতির নির্দেশে চাকরি চলে যাবে দেখছি। দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাক। কিন্তু একজনের দোষের জন্য বাকি নির্দোষ ব্যক্তিরা কেন শাস্তি ভোগ করবে?"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল বিচারপতি চাকরি বাতিলের সময় নির্দেশ দেন, আগামী চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন এই ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষক। তবে তাঁরা বেতন পাবেন প্যারা টিচার হিসাবে। আর যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরাও অংশ নিতে পারবেন।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই তালিকায় দেখা যায়, মামলাকারীদের থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছেন। এই তথ্য ও NCT-র গাইড লাইন অনুসারে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন