বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানোর জন্য মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় নতুন প্রকল্প চালু করেছে আদানি গোষ্ঠী। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্পের জন্য অনিচ্ছুক কৃষকদের কাছ থেকে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করছে আদানি গোষ্ঠী এবং এই কাজে তাঁদের সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। এর প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক, ক্ষেতমজুর এবং ভূমিহারা জনগণের পক্ষ থেকে রবিবার গণকনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছিল।
কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম সাংসদ এবং আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। এই প্রকল্পের জন্য ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। ফারাক্কার শমাসপুরে হওয়া এই গণকনভেনশনে তিনি বলেন, বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য লড়বো আমরা। যাদের জমির উপর দিয়ে হাইটেনশন লাইন গিয়েছে, যাদের গাছ কাটা গিয়েছে তাঁদের জোর করে কাগজে সই করিয়ে ধাপ্পাবাজি চলবে না। ন্যায্য প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে।
ভট্টাচার্য আরও বলেন, আমরা কৃষিবিজ্ঞানীদের সাথে কথা বলেছি, নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। হাইটেনশন বিদ্যুৎ লাইনের দুই পাশের প্রায় পঞ্চাশ মিটার অবধি বসবাসকারী মানুষকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন, তাঁরা টাকা ফেরত দেবেন না। প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের জন্য লড়াই হবে।
আদানি গোষ্ঠীর এই প্রকল্পের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। গাছ কাটতে বাধা দিয়েছিলেন। পুলিশ এই গ্রামবাসীদের লাঠিপেটা করেছিল। তাঁদের অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এখনও মামলা চলছে গ্রামবাসীদের উপর। জমি অধিগ্রহণের আইন মেনে চাষীদের সঠিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া, নিরীহ গ্রামবাসীদের ওপর পুলিশী নির্যাতনের বিরুদ্ধে, জোর করে জমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকারের ভূমিকার বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠে এদিনের কনভেনশনে।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ছাড়াও কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা, সারা ভারত কৃষক সভার নেতা নৃপেন চৌধুরি, সেভ ডেমোক্রেসির প্রাক্তন সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তী সহ অনেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন