পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো বিজেপির বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে ধর্ষিতার পরিবার। বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। উল্লেখ্য, গতকালই ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
ঘটনাটি ঘটেছে মহিষাদলের চক গাজীপুর এলাকায়। ওই যুবতীর পরিবারের দাবি, বুধবার বিকেলে প্রতিবন্ধী যুবতী ব্যাঙ্কে গিয়েছিল প্রতিবন্ধী ভাতা নেওয়ার জন্য। সে মূক ও বধির। সেই সুযোগ নিয়েই স্থানীয় বিজেপি নেতা গোপাল দাস মাঝ পথে তাঁকে ধর্ষণ করে। এই গোপাল দাস বিজেপির বুথ সভাপতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিজেপির হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছিল।
নির্যাতিতার বৌদি জানান, 'প্রতিদিনের মতো দুপুরবেলা খাওয়ার পরে বিড়ি বাঁধার কাজ করি আমি আর আমার ননদ (নির্যাতিতা)। বাড়িতে আর কেউ ছিল না। ননদ জানায় সে টাকা তুলতে যাবে। বাড়িতে কেউ না থাকায় আমি তার সাথে যাইনি। হঠাৎ প্রতিবেশীরা খবর দেয় গোপাল আমার ননদের সাথে খারাপ কাজ করেছে। সেখান দৌড়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।'
আক্রান্ত ওই যুবতীর বাবা বলেন, গোপালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। আমার মেয়েটার ক্ষতি যারা করেছে তাদের শাস্তি চাই। কঠিন শাস্তি চাই।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতে গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়। দোষীকে খুব শীঘ্রই ধরা হবে।
বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের পাল্টা দাবি তৃণমূল চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্বের দাবি, পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে নারীদের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। আর এই ঘটনায় বিজেপি তৃণমূলকে দোষ দিচ্ছে আর তৃণমূল বিজেপিকে। দুজনেই সমান অপরাধী।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই শিলিগুড়ি শহরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, "রাজ্যে আইনের শাসন নেই। ধর্ষণে অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই রাজ্যে যোগী আদিত্যনাথের মতো দক্ষ প্রশাসক দরকার। এই ধরণের অপরাধ যারা করছে তাদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকারই নেই। প্রয়োজনে এনকাউন্টার করে দেওয়া দরকার।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন