সাত সকালে গ্রামের পুকুর পাড়ে নিখোঁজ বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল এগরার হরিচক গ্রামে৷ অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উত্তেজনার পারদে ফুটছে পুরো গ্রাম৷ ইতিমধ্যে খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ৷
পুলিশ জানিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম তপন খাটুয়া (৪৫)। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে খুন করে পুকুর পাড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল৷ পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরায় হরিচক গ্রামের তপন খাটুয়া সক্রিয়ভাবে বিজেপি করতেন। পাশাপাশি বিজেপি বুথ কমিটির সদস্য ছিলেন। সোমবার রাতে বাড়ি থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় তপনবাবু। পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি করলেও কোথাও সন্ধান পাননি। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে এক কিমি দূরে পুকুর পাড়ে তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পরিজনেরা৷ বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা ইসলাম সাহা বলেন, ‘‘তপন খাটুয়া সক্রিয়ভাবে ভারতীয় জনতা পাটি করতেন। তাই রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ওকে মেরে পুকুরে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক৷’’
মৃত বিজেপি কর্মীর আত্মীয় বেনীমাধব খাটুয়া বলেন, “এটা পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। কেউ মেরে পুকুরপাড়ে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। উনি বিজেপির কার্যকর্তা ছিলেন, তাই খুন কি না পুলিশ খতিয়ে দেখুক৷’’
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর মামুদ হোসেন বলেন, ”মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতিতে নতুন মাত্রা দিয়েছে বিজেপি। যেকোনও মৃত্যু দুঃখজনক। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করবে। কিন্তু বিজেপি অহেতুক রাজনীতি করছে মৃতদেহ নিয়ে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন