বদলি করে দেওয়া হলো পুরুলিয়ার জেলা শাসক রাহুল মজুমদারকে, প্রশাসনিক সভায় যাঁকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন 'আমার দলের লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম'। নতুন জেলা শাসক হলেন হাওড়ার এডিএম রজত নন্দা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নবান্নের তরফ থেকে এক নির্দেশিকা জারি করে একথা জানানো হয়েছে। শুধু পুরুলিয়ার জেলাশাসক নয়, একাধিক জেলায় রদবদল করা হয়েছে। তবে পুরুলিয়ার জেলা শাসকের বদল সময়ের অপেক্ষা ছিলো মাত্র। দিন চারেক আগে পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে পাঠানো হয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটির অতিরিক্ত সচিব করে।
সেইসঙ্গে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক জয়শী দাশগুপ্তকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন খাদ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব সুনীল আগরওয়াল। তিনি উত্তরকন্যাতে অতিরিক্ত দায়িত্বেও ছিলেন। জয়শী দাসগুপ্তকে বদলি করা হয়েছে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের বিশেষ সচিব পদে।
এছাড়া দুই ২৪ পরগনা, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককেও বদলে দেওয়া হল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক উলগানাথনকে সরিয়ে আনা হয়েছে সুমিত গুপ্তকে। সুমিত গুপ্ত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক করা হয়েছে শরদ দ্বিবেদীকে। তিনি ছিলেন মুর্শিদাবাদের ডিএম। মুর্শিদাবাদের নতুন জেলাশাসক করা হয়েছে মালদহের জেলাশাসকের দায়িত্ব সামলানো রাজর্ষি মিত্রকে। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে আয়েসা রানিকে আনা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক করে। একসময়ে আয়েসা ঝাড়গ্রামের ডিএম ছিলেন। মালদহের জেলাশাসক করে পাঠানো হয়েছে নিতিন সিঙ্ঘানিয়াকে। পাশপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সচিবও বদলেরও খবর মিলেছে। মৎস সচিব করা হয়েছে অরবিন্দ সিংকে। পর্যটন সচিব পদে আনা হয়েছে সৌমিত্র মোহনকে। আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সচিব করা হয়েছে ছোটেন ডি লামাকে।
কার্যত জেলা সফরের মাঝেই উন্নয়নের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই ওই সব আধিকারিকদের অপসারণের জল্পনা চলছিল। এবার তা বাস্তবে দেখা গেলো।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন