মাথাভাঙার পর এবার নৈহাটিতে আন্দোলনকারীদের মিছিলে হামলার চালানোর অভিযোগ। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে হওয়া মিছিলে শাসকদল তৃণমূল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাঁদের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। মাইকের তার ছিড়ে দেওয়া হয়েছে।
আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন কর্মসূচীর ডাক দেওয়া হয়েছিল। নৈহাটিতেও মিছিলের ডাক দেন বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীরা। রবিবার সন্ধ্যায় নৈহাটি নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের সামনে থেকে ও স্বপ্নবীথি পার্কের সামনে থেকে দুটি মিছিল শুরু হয়। অরবিন্দ রোডে গিয়ে এই দু’টো মিছিল একসাথে মেশে। মিছিল রামকৃষ্ণ মোড়ে আসার পর তাতে হামলা চালানো হয়।
আন্দোলনকারীদের ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মহিলাদের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। অল্প দুরে পুলিশ দাঁড়িয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিল বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। হামলায় তিনজন মহিলা সহ দশজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নৈহাটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এক আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, “আমাদের মিছিলে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে এবং ঝামেলা অশান্তি শুরু করে। গায়ে হাত তোলে। আমাদের মাইক্রোফোনের সমস্ত তার ছিড়ে দেওয়া হয়। আমরা কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক তকমা লাগানো দলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিইনি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনও স্লোগান দিইনি। কিন্তু রাজনৈতিক লোকজন এখানে অনুপ্রবেশ করে রীতিমত আমাদের উপর হাত চালিয়েছে। পুলিশকে মাঝখানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু শেষে এসে দুই তিন জনকে দেখতে পেলাম। কিন্তু তাঁদের কোনও তৎপরতা দেখতে পেলাম না। আশা করি পুলিশের তৎপরতা থাকলে এমন কিছু ঘটত না।“
এক আন্দোলনকারী জানান, দুষ্কৃতীরা তাঁকে মেরে তাঁর গোলার সোনার হার ছিনিয়ে নিয়েছে।
হামলার প্রতিবাদে এবং দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রামকৃষ্ণ মোড়ে অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। প্রায় একঘণ্টা অবরোধ চলে। এরপর পুলিশ এসে জোর করে সেই অবরোধ তুলে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত দখলের রাতে মাথাভাঙায় আন্দোলনকারীদের মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন