কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের বিশ্বভারতীর মুকুটে জুড়তে চলেছে নয়া পালক। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে UNESCO-র তরফ থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হবে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' তকমা। যা বাঙ্গালীদের কাছে সত্যিই গর্বের।
রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি, পর্যটন এবং উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি ট্যুইট করে জানান, 'গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্ততীতে ভারতের জন্য খুবই বড় খবর। UNESCO-র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের উপদেষ্টা বিভাগ ICOMOS-র তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে শান্তিনিকেতন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াদে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির মিটিং-এ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে এ কথা।'
এই প্রথম কোনো সক্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রসংঘের তরফ থেকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হচ্ছে। কারণ এই হেরিটেজ তকমা এতদিন দেওয়া হতো স্মৃতিসৌধগুলিকে। তবে বিশ্বভারতীর বিশেষ কোনো স্থান এই তকমা পায় নাকি পুরো বিশ্বভারতী তা স্পষ্ট নয়। সেপ্টেম্বর মাসেই জানা যাবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই হেরিটেজ বা ঐতিহ্যশালী তকমার কথা বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মুখে আগেই শোনা গিয়েছিল। এ বছরের গোড়াতেই তিনি বলেছিলেন, বিশ্বভারতী হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয় তকমা পেতে চলেছে। বিশ্বে প্রথম হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয়।
মূলত চার দেওয়ালের সীমানার বাইরে বেরিয়ে প্রকৃতির মাঝে শিক্ষা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন। কবিগুরুর এই ভাবনাতেই আজও পঠন পাঠন হয় সেখানে। সেই কারণেই হেরিটেজ তকমা প্রদান করা হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন