পৃথক কামতাপুর রাজ্য চাই। এই দাবিতে ১২ ঘণ্টার রেল অবরোধ ডাকল ‘অল কামতাপুর স্টুডেন্টস্ ইউনিয়ন (আকসু)’-এর কর্মী সমর্থকেরা। শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে ‘রেল রোকো’ অভিযানে নামেন তাঁরা। ফলে সমস্যায় পড়েছে নিত্য যাত্রীরা। ঘটনাস্থলে একাধিক রেল পুলিশ মোতায়েনের প্রায় তিনঘন্টা পর ওঠে অবরোধ।
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি বেতগাড়া সংলগ্ন নুনিয়াবাড়ি এলাকায় এই কর্মসূচি শুরু হয়। এদিন সকাল থেকে বেতগারা স্টেশনের কাছে রেল লাইনে কামতাপুর পিপলস পার্টি বা 'কেপিপি' ও 'আকসু' সমর্থকদের জমায়েত হয়। রেললাইনের উপরেই কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে সকাল থেকে ব্যাহত হয় আপ-ডাউন ট্রেন চলাচল।
বেতগারা স্টেশনে আটকে পড়ে গুয়াহাটিগামী 'বন্দে ভারত' এক্সপ্রেস। বিক্ষোভকারীরা 'বিজেপি হঠাও, তৃণমূল হঠাও' স্লোগান দিচ্ছিলেন। পরিস্থিতি সামলাতে হাজির হয় রেল পুলিশ। তিনঘণ্টা পর ওঠে সেই অবরোধ। এই মুহূর্তে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন পরিষেবা।
পৃথক কামতাপুর রাজ্যের পাশাপাশি, তারা তাদের ভাষারও স্বীকৃতি চায়। অন্যদিকে, প্রায় একবছরের বেশি সময় ধরে কেন্দ্র সরকারের হেফাজতে রয়েছেন কামতাপুর আন্দোলনের নেতা জীবন সিং। শান্তি চুক্তি হবে বলেও, দীর্ঘদিন ধরে চলছে টানাপড়েন।
তাই আলাদা কামতাপুর রাজ্য এবং জীবন সিংহের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের শান্তি আলোচনা দ্রুত শেষ করার দাবিতে ১২ ঘণ্টার রেল অবরোধ অভিযানে শামিল হয়েছেন তারা, বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
তবে বর্তমানে রেল পুলিশের তৎপরতায় অবরোধ উঠেছে বলে জানা গেছে। স্বাভাবিক হচ্ছে রেল চলাচল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন