বৃহস্পতিবার পেশ করা হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের আগে চলতি বছরের অন্তর্বতী বাজেট। সেই বাজেটে এবার বাংলার রেলের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৩,৮১০ কোটি টাকা। যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় ১,৮৪০ কোটি টাকা বেশি। এদিন এমনই জানান কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
গত বছর পশ্চিমবঙ্গ সিটি মেট্রো প্রকল্পগুলির জন্য ১১,৯৭০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই বছর, ১৩,৮১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই বিশাল বরাদ্দ দিয়ে অনেক কাজ করা যেতে পারে বলে মত রেলমন্ত্রীর।
কলকাতা মেট্রো রেলের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯০৬ কোটি টাকা। গতবছর এই বরাদ্দ ছিল ৬০০ কোটি। বিমানবন্দর-নিউ গড়িয়া মেট্রোর জন্য বরাদ্দ ১৭০০ কোটি থেকে বেড়ে ১৭৯১.৩৯ কোটি হয়েছে। জোকা-বিবাদী বাগ রুটের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। গত বছর যা ৮০০ কোটি ছিল, এবছর তা ১২০৮.৬১ কোটি করা হয়েছে।
বাংলায় ৯৮টি 'অমৃত স্টেশন' গড়ে তোলা হবে বলে জানা গেছে। এর জন্যও বরাদ্দ করা হয়েছে।
রেলমন্ত্রী এদিন উল্লেখ করেছেন, কলকাতা মেট্রো রেলের কাজ ভালভাবে এগিয়ে চলছে। তবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে নানা সমস্যার কারণে।
নন্দীগ্রাম এবং দিল্লি-বালুরঘাট রেল প্রকল্পের কথা উল্লেখ এদিন অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “রাজ্য সরকারকে বেশ কয়েকটি চিঠি লেখা হয়েছে। ক্রমাগত ফলোআপ করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যা সবার কাছে চাওয়া হয়েছে তা পাওয়া যায়নি। 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ' ধারণা অনুসারে তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছিল, সকলের প্রচেষ্টা থাকলেই কাজ করা যেতে পারে। রাজ্য সরকার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে রেলের উন্নয়নে সহায়তা করলে অনেক কাজ করা সম্ভব।”
রেলমন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে এদিন পূর্ব রেলের প্রধান প্রশাসনিক আধিকারিক (নির্মাণ) প্রমোদ কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর, নবদ্বীপ ধাম-নবদ্বীপ ঘাটের মতো গুরুত্বপূর্ণ রেল প্রকল্পগুলি জমি অধিগ্রহণে বাধার কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। তাঁর মতে, কয়েক বছর আগেও পশ্চিমবঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ টিরও বেশি রেল প্রকল্পের কাজ জমি অধিগ্রহণের বাধার কারণে স্থগিত রাখতে হয়েছিল, যেখানে রাজ্যের সমর্থন প্রয়োজন ছিল।
এছাড়াও এদিন পূর্ব রেলের মহাব্যবস্থাপক মিলিন্দ কুমার দেউসকার দাবি করেছেন “আরও অনেক প্রকল্প অনুমোদন করা হবে। কিন্তু, অনুমোদনের পর যদি প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়া না যায়, তাহলে প্রকল্পগুলি কেবল কাগজে-কলমে রয়ে যাবে এবং তহবিল সঠিকভাবে ব্যয় হবে না। যদি তহবিলগুলি ঠিকঠাকভাবে ব্যয় করা না হয়, তবে প্রকল্পগুলির সুবিধা সাধারণ মানুষ পাবে না।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন