বুধবার সকাল সকাল বগটুই গ্রামে পৌঁছালেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ফের পুলিশ ও শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলোর সামনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকা পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মহম্মদ সেলিম বলেন - এই যে এখন এতো পুলিশ দেখছেন, সোমবার সন্ধ্যায় যখন অসহায় মানুষদের গুন্ডারা পোড়াচ্ছিল, তখন এরা আসেননি। গুন্ডারা বন্দুক-বোমা-রিভলবার নিয়ে তান্ডব করছিল। চারটে গাড়ি নিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে দেখছিল এই পুলিশগুলো। এদের বড় কর্তারা এই অবৈধ বালি খাদানের টাকা খায়, তাদের টাকাতে গাড়ি চড়ে, বৌয়ের গহনা গড়িয়ে দেয়। তাই গুন্ডাদের কেউ কিছু বলে না। আমাদের অফিসাররা অপদার্থ। আর এই পুলিশগুলো অসহায়। এইজন্য এরাও মারা যায়। মেটিয়াবুরুজ তার উদাহরণ। তৃণমূল নেতার হাতে পুলিশ খুন হয়েছে সেখানে। আমি খুব পরিষ্কারভাবে বলছি, যে অসহায় মানুষদের পোড়ানো হয়েছে, তাদের অপরাধীদের শাস্তি দিতেই হবে। তৃণমূল করেছে নাকি পুলিশ করেছে নাকি পুলিশ আর তৃণমূল মিলে করেছে সেটা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।
মঙ্গলবার রাতেই রামপুরহাট পৌঁছান মহম্মদ সেলিম এবং বিমান বসু। সূত্রের খবর রাতেই স্থানীয় নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করেন তাঁরা। এরপর বুধবার সকালে সেলিমের নেতৃত্বে সিপিআইএমের প্রতিনিধি দল বগটুই গ্রামে পৌঁছান।
গ্রামে পৌঁছানোর আগে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন তিনি। পিছু না হটে পুলিশকে তিনি বলেন, 'আমি সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক, আমার নাম মহম্মদ সেলিম। আপনাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গিয়ে জানান একথা।' এরপরই পথ ছেড়ে দেয় পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন