রামপুরহাট কান্ডে অনুব্রত মন্ডলের সুরেই সুর মেলালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, এর সাথে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই বলে করছেন তিনি। কিছুক্ষণ আগে কার্যত এই একই মন্তব্য করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।
সোমবার সন্ধ্যায় রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন হন। ভাদু শেখের বাড়ি বগটুই গ্রামে। তাঁর মৃত্যুর পরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বটগুই গ্রাম। পরপর বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ভাদু শেখের অনুরাগীদের বিরুদ্ধে। অগ্ধিদগ্ধ বাড়িগুলি থেকে কমপক্ষে ১০টি সম্পূর্ণ ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার করে দমকল বাহিনী। একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে অনুব্রত মন্ডল বলেন - শর্ট সার্কিট থেকে টিভি ফেটে যায়। সেই থেকেই বাড়িতে আগুন ধরে যায়। ১০টি নয়, তিন-চারটি বাড়িতে আগুন লেগেছে। সঙ্গে সঙ্গেই দমকল সেখানে পৌঁছায়। আগুন নেভানো হয়েছে। একটি বাড়িতেই সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।
অন্যদিকে ডিজি মনোজ মালব্য জানিয়েছেন, "আজ সকালে সঞ্জু শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৭টি মৃতদেহ। সঞ্জু শেখের বাড়িতেই প্রথম আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান। গতকাল রাতে ৩ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তাদের মধ্যে আজ সকালে একজন মারা যায় হাসপাতালে। ৩০২ ধারায় একটি এফআইআর হয়েছে। মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর পেয়েছি তাতে ঘটনার পিছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই। সম্ভবত ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই ঘটনা। তবে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। SIT গঠন করা হয়েছে।"
এই ঘটনার তদন্তে ADG CID জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন DIG CID মিরাজ খালিদ এবং IG বর্ধমান রেঞ্জ ভরতলাল মিনা।
রামপুরহাটের IC-কে ক্লোজ করা হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে SDPO সায়ন আহমেদকে। অন্যদিকে এই ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন