রামপুরহাটের ঘটনায় যাতে অপরাধীরা শাস্তি পায়, তার জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন। অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে কেন্দ্র সবরকম ভাবে রাজ্যকে সাহায্য করবে। এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ঘটনা নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন তিনি।
বুধবার দিল্লি বসে ভার্চুয়ালি কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে মোদী বলেন, ‘রামপুরহাটে জঘন্য অপরাধ হয়েছে। রাজ্য সরকারকে বলব অপরাধীরা যেন শাস্তি পায়। এই ঘটনার তদন্তে রাজ্যকে প্রয়োজনীয় যেকোনও সাহায্য করবে কেন্দ্র।’ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সিবিআইয়ের পাশাপাশি এনআইএ-ও তদন্ত করুক, দাবি তাদের।
মঙ্গলবারই এই ইস্যুতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও তোলেন। বুধবার লোকসভায় এই ইস্যুতে মুখ খোলেন। পাশাপাশি সম্প্রতি রাজ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক সঙ্ঘাত ও হত্যার প্রসঙ্গ তুলে এসব ইস্যুতে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করুক বলে দাবি জানান।
মঙ্গলবারই তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন। ইতিমধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা ‘সত্যতা যাচাই’ কমিটি তৈরি করেছেন। ওই গ্রামে খুব তাড়াতাড়ি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রতিনিধি দল পাঠাতে পারে বলে দলের দাবি। কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করুক, এটা চান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যেই ইঙ্গিত, আপাতত রাজ্যের তদন্তেই ভরসা রাখছেন তিনি।
যদিও প্রধানমন্ত্রীর এভাবে ‘নাক গলানো’ বক্তব্য পেশ করার বিষয়টি ভালো ভাবে নিতে পারেনি তৃণমূল। প্রবল আপত্তি জানিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের বলেন, 'গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি নিজে রাজধর্ম পালন করেননি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী তাঁকে রাজধর্ম পালন করার কথা মনে করিয়ে দেন। নিজেরাই রাজধর্ম পালন করেননি। তৃণমূল সরকারকে তাদের কোনও জ্ঞান দিতে হবে না।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন