মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই আত্মসমর্পণ করেছেন। স্পষ্ট জানালেন রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ধৃত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। যদিও তাঁর আইনজীবীর গলায় অন্য সুর স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, বগটুই গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন আনারুলকে গ্রেফতার করতে হবে। অথবা সে আত্মসমর্পণ করুক। তারপর তারাপীঠের একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তাঁকে তাঁর বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তারপর মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁকে ধরা হয়।
শুক্রবার তিনি আদালত চত্বরে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি আত্মসমর্পণ করেছি।' আদালতে আনারুলের আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২২ মার্চের ওই ঘটনায় যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তাতে আনারুলের নাম নেই। কিন্তু কোনও এক চিফের নির্দেশে এই কাজ করা হয়েছে।
তৎক্ষণাৎ অবশ্য বিচারক আইনজীবীকে থামিয়ে দেন। বলেন, এজলাসে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করবেন না। তবে চিফ বলতে আইনজীবী কাকে বোঝাচ্ছেন, তা সহজেই অনুমেয়।
অন্যদিকে আদালতে আনারুলের আইনজীবী সাফাই দিয়ে বলেন, আমার মক্কেলের বয়স ৬১ বছর। তিনি অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা চলছে। এই অবস্থায় তাঁকে জামিন না দেওয়ার কোনও কারণ নেই। তাঁর সওয়াল, ২২ মার্চ আনারুল সেখানেই ছিলেন। তাহলে প্রথমেই কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল না? তাঁর দাবি, বৃহস্পতিবার আনারুল তারাপীঠ থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। আনারুল নিজেও এই আত্মসমর্পণের কথা বলেছেন।
তবে সরকারি আইনজীবীর কথায়, আগে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের জেরা করেই আনারুলের নাম পাওয়া গিয়েছে। এবার মূল ষড়যন্ত্রকারী আনারুলকে জেরা করা হবে। এই নৃশংস গণহত্যার ঘটনায় আর কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা চলবে। পাশাপাশি অভিযোগ করা হয়েছে যে, আনারুল এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন