অবশেষে রামপুরহাট-কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে মুখবন্ধ খামে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই মামলার শুনানিতে উঠে আসে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনে সিবিআই তদন্তের প্রসঙ্গও। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ভাদু শেখের বাড়ি ও আশেপাশে মানুষ হাঁটাচলা করেছে। তাই তথ্যপ্রমাণের বেশিরভাগটাই নষ্ট হয়ে গেছে।
ভাদু-খুনের তদন্ত সিবিআই করবে কি না, তা নিয়ে কেন্দ্রের দুই আইনজীবীর মধ্যে ভিন্ন মত দেখা যায়। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুরের বক্তব্য, প্রথম মামলার দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরুর পর ১০ দিন কেটে গিয়েছে। এখন নতুন করে মামলার দায়িত্ব নেবে কীভাবে সিবিআই! ভাদু শেখ খুনের পর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো দিন। এতদিনে নষ্ট হয়ে গিয়েছে অনেক তথ্যপ্রমাণও।
ওই বক্তব্যের পাল্টা কেন্দ্রের সহকারী সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, 'বগটুই গণহত্যার তদন্তে ঘটনাস্থলে রয়েছে সিবিআইয়ের প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যে টাওয়ার ডাম্পিং পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে চলছে তদন্ত প্রক্রিয়া। এই অবস্থায় ভাদু-খুনের তদন্ত হাতে নিতে কোনও আপত্তি নেই কেন্দ্রীয় সংস্থার।’ যদিও শেষপর্যন্ত দু’জনেই এক মত হন। দস্তুর জানান, আদালত নির্দেশ দিলে খুনের তদন্তভার নেবে সিবিআই।
এদিকে, রাজ্য হাইকোর্টে জানায়, রামপুরহাটে একটি এফআইআরে ভাদু খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি ছিল। পুলিশ তদন্ত করছে। তাই সিবিআইকে এই ঘটনার তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়ার দরকার নেই। তবে মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি কোনও রায়দান করেননি।
অন্যদিকর, বগটুই হত্যাকাণ্ডে সিবিআই ধৃত আটজনের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানাল রামপুরহাট আদালতে। আবেদনের শুনানি হবে আগামী ৮ এপ্রিল। সূত্রের খবর, জেরার সময় ফরেন্সিক সাইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্টে ধৃতদের কয়েকজনের ভঙ্গিমায় সন্দেহ হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন