বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহের যেন ইতি নেই। নেতানেত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপ ছাড়ার ঝড় যেন থামছেই না। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা। একটি গ্ৰুপ নয়, একাধিক সাংগঠনিক গ্ৰুপ ত্যাগ করেছেন শঙ্কুদেব। শনিবার মধ্যরাতের এই কাণ্ডে রীতিমতো বিড়ম্বনায় দল।
বিজেপির নেতানেত্রীদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপ ত্যাগের ধারা শুরু হয়েছিল সৌমিত্র খাঁ-এর হাত ধরে। উঠেছিল তাঁর দলবদলের জল্পনা। যদিও সেই জল্পনা ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে, কিন্তু সেই ধারা থেকেই গেছে। সম্প্রতি প্রথমে পাঁচ মতুয়া বিধায়ক, পরে বাঁকুড়ার চার বিধায়ক বিজেপি-র সাংগঠনিক হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দেন। সেই একই পথে হেঁটে দলের অস্বস্তি বাড়ান বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এরপর গ্রুপ ছাড়েন খড়্গপুর সদরের অভিনেতা-বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। হিরণের অভিযোগ ছিল, জেলা সংগঠনের কাজে তাঁকে এড়িয়ে চলে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। এমনকি তাঁর নিশানায় ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এইসব নিয়ে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের অস্বস্তির মধ্যেই নতুন করে কপালে চিন্তার ভাঁজ তৈরি করলেন শঙ্কুদেব।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সম্প্রতি জেলা সংগঠনে রদবদল করা হয় বিজেপিতে। আর তারপর থেকেই এই গ্ৰুপ ছাড়ার হিড়িক লেগেছে। যদিও এঁদের মধ্যে এখনও কেউই দলত্যাগ করেননি। কিন্তু গ্ৰুপ ছাড়ায় দলের অভ্যন্তরে অসন্তোষ পুরোমাত্রায় সামনে এসেছে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শঙ্কুদেব পাণ্ডা। প্রথমদিকে দলের সাংগঠনিক কাজে নিজেকে লিপ্ত রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছুদিন অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে জল্পনা চলছে তাঁকে নিয়ে। আর এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপ ছাড়ার ঘটনা সেই জল্পনায় নতুন ইন্ধন জোগাল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন