দিন কয়েক আগেই নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে দীর্ঘ জেরার পর গ্রেপ্তার হয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার বড়োয়ার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এবার শুক্রবার আচমকাই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নদীয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে পৌঁছেছে সিবিআই।
তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, চাকরি দেবার নাম করে তিনি ১৬ কোটি টাকা নিয়েছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছিলেন, দলের কয়েকজন এবং বিজেপির কয়েকজন চক্রান্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। তিনি তদন্তে সবরকমের সহযোগিতা করবেন বলেও জানান।
জানা গেছে, আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে। গত ১৮ এপ্রিল তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই নির্দেশের তিন দিনের মধ্যে ২১ এপ্রিল বিকেলে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে যায় সিবিআই।
১২ জন তদন্তকারী সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাপস সাহার বাড়িতে আছেন। বাড়ির পাশাপাশি তাঁর কার্যালয়েও পৌঁছেছে তদন্তকারী দল। তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় মানুষ।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। প্রায় ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ককে। তদন্তে সহযোগিতা না করা এবং তথ্য-প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
উল্লেখ্য, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় পালাতে ব্যর্থ হন তিনি। যদিও নিজের দু’টি মোবাইল ফোন বাড়ির পিছনের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দিতে সক্ষম হন তিনি। ছোঁড়েন দু’টি পেনড্রাইভ এবং একটি হার্ডডিস্কও। পাম্প চালিয়ে জল ছিঁছে মোবাইল দুটি উদ্ধার করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন