সন্দেশখালির ঘটনার পর শুক্রবার সকাল থেকে ফের তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। শুক্রবার সকালে একযোগে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী ও প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা সুজিত বসুর দু’টি বাড়িতে। এছাড়াও তল্লাশি চলছে বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়ি ও অফিসে। তল্লাশি চলছে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তী বাড়িতে। সবকটি জায়গাই ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
জানা গেছে, মূলত পুর নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনাতেই এই তল্লাশি অভিযান চলছে। শুক্রবার সকালেই বাহিনী সহ ইডি আধিকারিকেরা একযোগে তিন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বাড়িতে হাজির হন। সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় পুলিশ বাহিনীও। ইডি সূত্রে খবর, আটক অয়ন শীলকে জেরা করে এই তিনজনের নাম পাওয়া যায়। তার জেরেই এই তল্লাশি অভিযান।
এর আগে গত সপ্তাহের শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে ইডি আধিকারিকরা। মারমুখী জনতার রোষের মুখে পড়ে প্রহৃত হন একাধিক ইডি আধিকারিক। তাদের ল্যাপটপ, মোবাইল, ব্যাগ হাতিয়ে নেওয়া হয়। ওইদিন ইডির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে স্থানীয় পুলিশ বাহিনী সহায়তা করেনি। যদিও এদিন বেশ আটঘাট বেঁধেই অভিযানে নেমেছে ইডি। এদিন শুরু থেকেই সঙ্গে আছে স্থানীয় পুলিশ বাহিনী।
এর আগে গত বছরের ৩১ আগস্ট সুজিত বসুকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। সূত্র অনুসারে, পুর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৬ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন পুর নিয়োগে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই বিষয়েই সম্ভবত এদিনের তল্লাশি অভিযান।
এদিনের তল্লাশি অভিযান প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সমস্ত রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা জলের মত স্পষ্ট।’
তল্লাশি অভিযান প্রসঙ্গে বিজেপি দিলীপ ঘোশকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, “অনেকদিন ধরে শুনছি খেলা হবে। এবার খেলা হচ্ছে। যারা খেলেছে এতদিন, কেউ ছাড় পাবেনা।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন