WBJEE: ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ছাত্রীদের উৎসাহ দিতে কমানো হল জয়েন্ট এন্ট্রান্সের রেজিস্ট্রেশন ফি

People's Reporter: ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই জয়েন্ট এন্ট্রাসে এই নয়া ফি চালু হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকীফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

এবার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মেয়েদের উৎসাহ বাড়াতে রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সঙ্গে কমানো হয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের পরীক্ষার্থীদের ফিও। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই জয়েন্ট এন্ট্রাসে এই নয়া ফি চালু হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে। চলবে ৩১ জানুযারি পর্যন্ত। বোর্ডের তরফ থেকে এমনই জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর জয়েন্টে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৯৬ হাজার ৯১৩ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ছিল ৭০ হাজার ৩৪১ জন এবং ছাত্রী ২৬ হাজার ৭৫১ জন।

জয়েন্টে জেনারেল ক্যাটাগরির পরীক্ষার্থীদের ফি ছিল ৫০০ টাকা। এই সিদ্ধান্তের পর ছাত্রীদের জন্য ১০০ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ৪০০ টাকা। ওই কাঠামো অনুযায়ী, তৃতীয় লিঙ্গের পরীক্ষার্থীদের জন্য ফি করা হয়েছে ৩০০ টাকা। একইভাবে, এসসি, এসটি, ওবিসি-এ, ওবিসি-বি ক্যাটাগরিতেও ছাত্র ও ছাত্রীদের আলাদা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ওই ক্যাটাগরিতে ছাত্রদের ৪০০ টাকা ও ছাত্রীদের জন্য ৩০০ টাকা করা হয়েছে। এই প্রথমবার এই ক্যাটাগরির আওতায় আনা হয়েছে, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া, বিশেষ ভাবে সক্ষম ও টিউশন ফি ওয়েভার ক্যাটাগরিকেও।

এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা, ২০২৪-এর অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চালু হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে। এবছর অসংরক্ষিত, সংরক্ষিত অংশের মহিলা পরীক্ষার্থী ও ট্রান্সজেন্ডার পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।“

অন্যদিকে, এবিষয়ে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, “আমরা ছাত্রছাত্রীদের বাদবিচার করছি না। তবে, জয়েন্টে ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রদের অংশগ্রহণ অনেকটাই বেশি। আমাদের মনে হয়েছে ছাত্রীদেরও উৎসাহিত করা উচিত। যাতে তারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আরও এগিয়ে আসে।“

তিনি আরও জানান, “যারা তৃতীয় লিঙ্গ, তাদেরও আমরা উৎসাহিত করতে চাইছি। এখন স্নাতক, স্নাতকোত্তর স্তরে তাদের অনেক বেশি দেখতে পারছি। সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তারা কেন পিছিয়ে থাকবে। তাদেরও উৎসাহিত করার জন্য আমরা এটা করেছি।“ উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে উচ্চ-মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল তৃতীয় লিঙ্গের পরিক্ষার্থী স্মরণ্যা  ঘোষ। আর এই আবহেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তাদের উৎসাহ বাড়াতে এই উদ্যোগ।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in