বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য রাজ্যস্তরের এক স্তরের নেতৃত্বের গাফলতিকেই দায়ী করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নালিশ জানানো হয়েছে সংঘ পরিচালক মোহন ভাগবতকে। আরএসএসের রাজ্য শাখার পর্যবেক্ষণ, রাজ্যে আরএসএস ও বিজেপির মধ্যে লোকসভা নির্বাচনে সমন্বয় থাকলেও বিধানসভা নির্বাচন ছিল না। এছাড়াও নিম্নলিখিত কারনগুলোকে সংঘ ভরাডুবির কারন মনে করছে-
প্রথমত, তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া নেতানেত্রীদের ওপর বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব, দিল্লির নেতৃত্ব ভরসা করেছিল। আদি বিজেপি ও আরএসএসের ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ দলীয় কর্মীদের ওপর ভরসা করা হয়নি।
দ্বিতীয়ত, বুথস্তরে বিজেপি কর্মীদের ওপর যে তৃণমূলীরা অত্যাচার করত, তাঁদের বিজেপিতে নেওয়াটা মানতে পারেননি তাঁরা। ফলে ক্ষুব্ধ ওই কর্মীরা গোপনে তৃণমূলকে সাহায্য করেছে।
তৃতীয়ত, প্রার্থী তালিকা তৈরিতে স্বজনপোষণ হয়েছে। যেমন, শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁদের লোকজনকে প্রার্থী করা হয়েছে। যোগ্যতা বিচার করা হয়নি।
চতুর্থত, বিজেপির গঠনতন্ত্রকে মানা হয়নি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আরএসএস। দলের জেলা সভাপতিদের যে ভাবে কাজে লাগানো দরকার, তা হয়নি।
রাজ্যে আরএসএসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা প্রদীপ যোশী ঘনিষ্ঠমহলে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের উপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভরাডুবির জন্য দায়ী করে কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে তথ্য যোগাড় করে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ও বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন