নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বহিষ্কৃত এবং ধৃত যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে হুগলিতে অভিযান চালাচ্ছে ইডি।
১) হুগলির বলাগড়ের চাদরার একটি গেস্ট হাউসের তালা ভেঙে তাল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
২) ব্যান্ডেল চার্চের কাছে চুঁচুড়ার জগুদাসপাড়ায় একটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, এই সবগুলিই ধৃত যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, ৩-৪ বছর আগে ব্যান্ডেলে স্ত্রী প্রিয়ঙ্কার নামে ৪ কাঠা জমিতে গ্যারাজ-সহ পেল্লায় তিনতলা বাড়ি কেনেন শান্তনু। প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকায় এই বাড়িটি স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কিনেছিলেন শান্তনু।
শনিবার, সেই তালাবন্ধ বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি-র অফিসাররা। হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছেন তাঁরা। সেখানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডির একটি দল। যদিও এখান থেকে কিছুই মেলেনি বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে দুজন এই বাড়িতে এসে দুটি ব্যাগে করে কিছু জিনিস নিয়ে গেছেন।
জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগেও এই বাড়িতে আসতেন শান্তনু ও তাঁর স্ত্রী। বিল বকেয়া থাকায় জানুয়ারি মাসে তালাবন্ধ বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। উল্লেখ্য, এই সংস্থারই কর্মী ছিলেন শান্তনু। নিয়োগ দুর্নীতিতে শান্তনুকে গ্রেফতার করার পর চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে।
ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই শান্তনুর ২০টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। মিলেছে। নামে-বেনামে একাধিক বাড়ি, ধাবা, রেস্তোরাঁ, হোম স্টে, বাগানবাড়ি, ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। সব মিলিয়ে যার দাম ১০-১৫ কোটি টাকা।
এর আগে, গত শুক্রবার শান্তনুর পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্তত ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করেছে ইডি। জেরায় শান্তনু ইডিকে জানিয়েছেন, কয়েকজন প্রভাবশালীর নির্দেশে তিনি সব কাজ করেছেন।
ইডি সূত্রের খবর, নজরে থাকা অ্যাকাউন্টগুলিতে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা রয়েছে। সেই টাকা কোথা থেকে এল, কোথায় গেল, কবে এল, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন