শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে নির্বাচনের দায়িত্ব বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর বর্তানো নিয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এমনকি হুইলচেয়ারে থাকা শিক্ষকদেরও নির্বাচনের প্রশিক্ষণ পর্বে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব কিংকর অধিকারী।
কিংকর অধিকারীর মতে শিক্ষকদের প্রতি এমন ব্যবহার পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম নয়। তিনি জানিয়েছেন, “২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও শারীরিক অক্ষমতার জন্য নির্বাচনের কাজ থেকে অব্যাহতি পেতে নতুন করে আবেদন করতে হয়েছিল বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এই সমস্যার খুব সহজ একটি সমাধান রয়েছে। যার জন্য বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষকদের ভোটের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে প্রশাসনকে বাধা দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশ জারি করা উচিত। তাহলে বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষকদের ভোটের দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নতুন করে আবেদন করতে হবে না।”
এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের ডিউটি নিয়ে আরও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক বা বর্ষীয়ান শিক্ষক যারা রাজ্য সরকারি স্কুলে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষকতা করেছেন তাঁদের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব না দিয়ে সাধারণ পোলিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই নির্বাচনে। এর আগে এই নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন। তাঁদের মতে, “সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের ভোটগ্রহণের দায়িত্ব দেওয়ার রীতি বহুদিন ধরে চলে আসছে। প্রধানশিক্ষক বা প্রবীণ শিক্ষক যারা দীর্ঘকাল ধরে রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষকতা করেছেন তাঁদের প্রিসাইডিং অফিসারের পরিবর্তে অধঃস্তন পোলিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
এখানেই শেষ নয়। কলকাতা সংলগ্ন হাওড়ার জেলা প্রশাসন রাজ্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির চিকিৎসকদেরও নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় চরমে পৌঁছয়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস-এর পক্ষ থেকে রাজ্য প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
-Wuth IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন