বঙ্গ বিজেপিতে দুই নায়কের কাজিয়া। একদিকে হিরণ, অন্যদিকে রুদ্রনীল। প্রকশ্যে একের অন্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলছেন। রুদ্রনীল তো আবার সরাসরি কেন্দ্রকেও আক্রমণ করে বসলেন।
কিছুদিন আগেই তৃণমূলের দুই গায়ক তথা রাজ্যের দুই মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং ইন্দ্রনীল সেনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। একইভাবে এবার দ্বন্দ্বে জড়ালেন দুই বিজেপি নেতা হিরণ চ্যাটার্জি এবং রুদ্রনীল ঘোষ। দু'জনের পেশা অভিনয় হলেও বর্তমানে রুদ্রনীল একের পর এক কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু হিরণকে তেমন কাজ করতে দেখা যায় না। এই প্রসঙ্গে হিরণ বলেন, "রুদ্রনীল চোরের সাথে যুক্ত। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে যুক্ত আছে। সেই জন্যই ও কাজ পাচ্ছেন। আর কাজ তো সেই চোরেদের সাথেই করছেন"।
তিনি আরও বলেন, "শ্রীকান্ত মোহতার ছবিতে কাজ করছেন। একদিন যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তাঁদের সাথেই কাজ করে চলেছেন। ওই চোররা তাঁকে কাজ দিচ্ছেন বলেই হয়তো তিনি করছেন। কারণ অভিনয় করেই তো ওনাকে সংসার চালাতে হবে"।
হিরণকে অবশ্য পাল্টা দিয়েছেন রুদ্রনীলও। হিরণের সাথে চিটফান্ড সংস্থার যোগ থাকারও অভিযোগ করেন রুদ্রনীল। তিনি বলেন, '২০১২-১৩ সালে হিরণবাবু একটা মাচো মস্তানা নামে একটা সিনেমা করেছিলেন। যেটা ছিল রিমেক ফিল্মসের। রিমেক চিটফান্ডের মালিক পি পি তিওয়ারি বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছিলেন। সেই সময় নাকি ৬-৭ কোটি টাকা দিয়েছিলেন'।
শ্রীকান্ত মোহতার ছবিতে কাজ করা নিয়েও সাফাই দিয়েছেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল। তিনি বলেন, "শ্রীকান্ত মোহতা কোনো একটি আইনি জটিলতার মধ্যে পড়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু উনি চোর হলে ওনার চ্যানেল চলছে কীভাবে? প্রোডাকশন হাউস রয়েছে যা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। চোর হলে কেন্দ্র নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিত। এতদিন ছেড়ে রেখেছে কেন?"
বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির দুই পরিচিত মুখ হলেও তাঁরা পূর্বে তৃণমূল করতেন। দু'জনই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। দুই নেতার কাজিয়ায় দলের অন্দরে অস্বস্তি বাড়লেও এখনও কোনও শীর্ষ নেতার তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন