গাছের পর গাছ কেটে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে সবুজদ্বীপ থেকে। এই অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী স্বয়ং। গত ২৭ মার্চ ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই গুরুতর অভিযোগ করেন। যদিও তাঁর এই পোষ্টের পর নেটিজেনরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন খোদ তৃণমূল বিধায়কের ওপরেই।
গত ২৭ মার্চের ফেসবুক ভিডিওতে বলাগড়ের বিধায়ক বলেন, “বলাগড়ের সবুজ দ্বীপ আজ ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। বড়ো গাছ গুটিকয়েক মাত্র দাঁড়িয়ে আছে। হাজার হাজার গাছ শুয়ে পড়ে আছে। কত পাচার হয়ে গেছে তার কোনও গোণাগুণতি নেই। এত বড়ো একটা দ্বীপ, কারা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন, তাঁরা কী করেন, বুঝতে পারছি না।…সবুজদ্বীপ আর সবুজ রাখতে দিচ্ছে না। চারদিকে যেদিকে তাকানো যায় শুধু মৃতদেহ গাছের।… এই চোরদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।… আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি এ অঞ্চলের প্রভাবশালীরা জড়িত না থাকলে, সরকারি আধিকারিকরা জড়িত না থাকলে এরকম দিনের পর দিন গাছ কাটা হতে পারেনা।”
২৯ মার্চ অন্য এক ফেসবুক পোষ্টে তিনি বলেন, “আমার একটি সাধারণ প্রশ্ন পক্ষী বিশারদ ও বৃক্ষ বিজ্ঞানীদের কাছে। দয়া করে জানান। আমি গভীর অরণ্য দন্ডকারণ্যের মানুষ। ওখানে কিন্তু কোন গাছ এভাবে মরতে দেখিনি। তাই আমার জানা নেই। তাই জানবার ইচ্ছা। পানকৌড়ি বা এই রকম কোন পাখির মলত্যাগ জনিত কারণে আকাশ ছোঁয়া শত শত বৃক্ষ মারা যেতে পারে কিনা। একজন দাবি করছে সবুজ দ্বীপের যত গাছ মারা গেছে সব নাকি ওই কারণে। সত্যি নাকি?”
যদিও তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের পরেই তাঁর দিকে ধেয়ে এসেছে সমালোচনা। জনৈক সুনীল নাথ এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, “আপনি নিজে শাসন যন্ত্রের অংশ। আপনি নিজে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না কেন? তাহলে কি ধরে নেব আমরা একজন অক্ষম লোককে এমএলএ বানিয়েছি? শুধু স্যোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ করে কী হবে? যেখানে জানিয়ে কাজ হবে সেখানে জানান। তারপর ফেসবুকে জানান যে আপনি প্রতিকার করতে পেরেছেন।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন