পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জামার প্রথম চার দিনে ৯ হাজারের কিছু বেশি এবং শেষ দু'দিনে ৭৬ হাজারেরও বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে শাসক দল। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীদলগুলি। বিরোধীদের দাবি এত কম সময়ে বিপুল পরিমাণ মনোনয়ন তৃণমূল জমা দিল কিভাবে? ওএমআর শিটের মতোই কারচুপি, দাবি মহম্মদ সেলিমের।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট দেখে বিরোধীদল গুলো কার্যত অবাক। শেষ দু'দিনে তৃণমূল জমা দিয়েছে ৭৬ হাজার ৪৮৯টি মনোনয়নপত্র। এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন, মনোনয়ন জমার সময় ধার্য করা হয়েছে, দিন পিছু ৪ ঘন্টা করে। অর্থাৎ তৃণমূলের হাতে ছিল ৮ ঘন্টা। অংকের হিসেবে বলা যেতে পারে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় তিনটি করে মনে হয় জমা দিয়েছে তৃণমূল। সিপিআইএমের দাবি এ তো রীতিমতো ম্যাজিক। ম্যাজিক না হলে এইভাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভব নয়। আসনের তুলনায় ১২ হাজারেরও বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে তৃণমূল। মনোনয়নের ক্ষেত্রেও যে শাসক দল দুর্নীতি করেছে তা একপ্রকার স্পষ্ট।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন জামার ক্ষেত্রে প্রথম তৃণমূল দ্বিতীয় বিজেপি এবং তৃতীয় সিপিআইএম। তৃণমূল জমা করেছে ৮৫,৮১৭টি মনোনয়নপত্র। বিজেপি জমা করেছে ৫৬,৩২১টি মনোনয়নপত্র। সিপিআইএম জমা করেছে ৪৮,৬৪৬টি মনোনয়ন। ১৭,৭৫০টি মনোনয়ন জমা করেছে কংগ্রেস, ফরওয়ার্ড ব্লক জমা করেছে ১,৫৯৫টি এবং নির্দল প্রার্থীরা জমা করেছে ১৬,২৯৩ মনোনয়নপত্র।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতিতে যেভাবে ফাঁকা ওএমআর শিট পাওয়া গেছে এখানেও গোপনে আগেই তৃণমূল মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে দিয়েছে। তারপর ডিসিআর কাটা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম না মেনেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে তৃণমূল।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন অতিরিক্তি মনোনয়নের ব্যাপারে বলেছে, এক পদের জন্য মাঝে মধ্যে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন জমা দিতে পারে। তবে তা স্ক্রুটিনি করলে সংখ্যাটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তৃণমূলের অবশ্য দাবি, জেলায় জেলায় তাদের সংগঠন বিশাল মজবুত। যার ফলে এত দ্রুত মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বিরোধীরা মনে হয় একটি মাত্র কেন্দ্র নিয়ে ভাবছে। এটা একটি কেন্দ্রের নয় গোটা রাজ্যের নিরিখে ভাবতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন