বারবার রাজ্যভাগের দাবি নিয়ে শিরোনামে এসেছেন বঙ্গের বিজেপি নেতারা। ফের রাজ্যভাগের কথা শোনা গেল বিজেপি সাংসদের মুখে। রাঢ়অঞ্চল ও জঙ্গলমহলকে নিয়ে পৃথক রাজ্য গড়ার দাবি তুললেন সৌমিত্র খাঁ। প্রধানমন্ত্রীর কছে এই নিয়ে আবেদন করবেন বলেও জানান।
ফের রাঢ়বঙ্গ নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ। বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান মূলত জঙ্গলমহল এলাকা নিয়ে নতুন রাজ্য চাইছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁকে বলতে শোনা গেছে উত্তরবঙ্গ যদি ভাবতে পারে তাহলে জঙ্গলমহলের মানুষও নিজেদের উন্নয়ন নিয়ে ভাবা উচিত। এলাকার যুব সমাজের কথা মাথায় রেখে, সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে নতুন রাজ্য গঠন করা উচিত। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই জেলাগুলোকে নিয়ে তেমন কিছু পরিকল্পনা নেই বলেই তিনি মনে করেন। কলকাতার বাবুদের জন্য বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে জঙ্গলমহলকে। তাঁর মতে যদি ২৩ টি জেলা থেকে ৪৬টি জেলা গঠন সম্ভব তাহলে জঙ্গলমহলেরও নতুন রাজ্যরূপে স্বীকৃতি পেতে অসুবিধা নেই। জঙ্গলমহলকে আলাদা রাজ্য করারা জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
বিজেপির তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া না মিললেও বামনেতা সুজন চক্রবর্তী এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, বিজেপি বা আরএসএস-র নীতিই হচ্ছে ভাঙনের। এরা মূলত চায় মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে যত ছোটো টুকরো করা যায় তত ভালো। বঞ্চনা, পিছিয়ে থাকার জন্য আর্থিক দিক ও রাজনৈতিক দিক দিয়ে লড়াই করা উচিত। বাংলাকে দুর্বল করার জন্য বিজেপির নেতারা রাজ্যভাগ করতে চায়, এমনটাও বলতে শোনা যায় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, “কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ৫০ কিলোমিটারের পরিধির মধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ বা অন্য জায়গার মন্ত্রী নেই। রাঢ়বঙ্গ থেকে মাত্র ১ জন মন্ত্রী। বাকি সবাই হাফ প্যান্ট মন্ত্রী। আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষ বঞ্চিত। রাঢ়বঙ্গের যুবকদের কর্মসংস্থান নেই। আমাদের এলাকার সম্পত্তি রাজ্য সরকারের কোষাগারে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের এলাকার মানুষ কিছু পাচ্ছে না। আগামী দিনে রাঢ়বঙ্গে এই দাবি উঠতে পারে”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন