চলতি মাসের শুরুতে কোভিড সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গতি রুখতে নতুন করে করোনা বিধি কড়াকড়ি করা হয়। কিন্তু মাসের মাঝামাঝি থেকে তা আবার কিছুটা শিথিল করে দেওয়া হয়। যদিও বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সব ক্ষেত্রই যখন খোলা, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন, এই নিয়ে প্রশ্ন সব মহলের। করোনা বিধি মেনেই ফের পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করা হোক। এই দাবিতে এবার সরব হল রাজ্য সিপিআইএম ও তাদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই।
প্রায় দু'বছর ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল। গত নভেম্বর মাসে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলা হয়। যদিও চলতি বছরের শুরু থেকে ফের তা বন্ধ হয়ে যায়। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘বিরাট সর্বনাশ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফল ভুগতে হবে কয়েকটি প্রজন্মকে। অবিলম্বে স্কুল খুলে দিতে হবে। অবশ্যই তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে হবে। এই দু'বছর ধরে বহু পড়ুয়া পড়াশোনার সুযোগ পেল না। যাদের স্মার্ট ফোন নেই, গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে নেট নেই- তাদের ক্ষতি হয়ে গেল অনেকটাই।'
শুধু বামেরা নয়, শিক্ষাক্ষেত্র খুলে দেওয়ার দাবি উঠেছে রাজ্যের সব মহলেই। অনলাইনে পড়াশোনা কখনওই উপযুক্ত ক্ষেত্র হতে পারে না। সেব্যাপারে স্পষ্ট মতামত জানিয়ে দিয়েছে সমাজের বিভিন্ন প্রান্ত। স্কুলে যাওয়া প্রয়োজন। এর কোনও বিকল্প নেই। রাজ্য সরকারও অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।
এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আর নয়, এবার আন্দোলন। একটি রাজ্যের গোটা আগামী প্রজন্মের অক্ষরজ্ঞান ভুলিয়ে দিতে বসেছে সরকার। চক্ষুলজ্জার খাতিরে মনে করিয়ে দিতে সহজপাঠ ও বর্ণপরিচয় নিয়ে ২৪ তারিখ বিকাশভবনে যাব শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। ২৭ তারিখ সব কলেজ, স্কুলের সামনে ওপেন ক্লাসরুম হবে। ৩১ তারিখের মধ্যে সদর্থক উত্তর না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটব আমরা।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন