বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চপ শিল্পের দাওয়াই দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, চপ ভেজে অনেক অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। এবার প্রায় একইরকম কর্মসংস্থানের উপায় বাতলে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর কর্মসংস্থানের হাতিয়ার কচুরিপানা। বললেন, কচুরিপানা জলেই পাওয়া যায়। তাই কচুরিপানার শিল্পের জন্য কোনও কাঁচামাল আলাদা করে কিনতে হবে না। তা তুলে শুকিয়ে বিক্রি করলেই হবে। কেজি প্রতি দাম ২৫ টাকা।
মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি দফতরের পক্ষ থেকে শিল্প সমন্বয় সম্মেলন আয়োজিত হয়। সেখানে শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা ও ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীও। সেখানেই পশুপালন দফতরের মন্ত্রী কচুরিপানা নিয়ে এই দাওয়াই দিলেন।
শুধু তাই নয়, মন্ত্রী মনে করেন, এই ২৫ টাকা করে বিন্দুতে বিন্দুতে একদিন সিন্ধু তৈরি হবে। শিল্প সম্মেলনে এসে মন্ত্রীর এই বেকারত্ব সমস্যার সমাধানের দাওয়াই নিয়ে গোটা রাজ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কচুরিপানা কী আদৌ শিল্প হয়ে উঠতে পারে?
এদিন স্বপনবাবু বলেন, ‘আমরা খাল-বিল উৎসব পালন করি। রাজ্যে একাধিক জলাশয় আছে, সেখানে প্রচুর কচুরিপানা জন্মায়। মাছ বড় করার জন্য জলাশয় থেকে কচুরিপানা তুলতে হবে। আমাদের ওখানকার একটা ছেলে কচুরিপানা দিয়ে নানারকম জিনিস তৈরি করছে। তা দিয়ে গয়নার বাক্স, ফল রাখার পাত্র, টেবিলের উপরে গরম জিনিস রাখার ম্যাট তৈরি করা যায়। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কচুরিপানা তুলে তারপর শুকিয়ে তা ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যেতে পারে। পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগও থাকছে।’ তিনি বলেছেন, ‘সরকারকে বলব, এদের জন্য যদি কিছু করা যায়।’
উল্লেখ্য, আগামী ২ জানুয়ারি থেকে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে। সেখানে তাঁতি ও হস্তশিল্পীরা পাবেন ‘আর্টিজান ক্রেডিট কার্ড’। কিন্তু মন্ত্রীর কথামতো কচুরিপানা শুকিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী বানিয়ে বিক্রি করতে ঋণ লাগলে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন