একের পর এক বিজেপি নেতা তৃণমূলে ফিরে এসে বাংলায় বিজেপির খুঁটি কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে বলা চলে। সম্প্রতি অর্জুন সিং-এর বিজেপি ত্যাগ করার সাথে সাথে গুঞ্জন শুরু হয়েছে অভিষেকের শ্যামনগরের সভাতে তৃণমূলে যোগদান করবেন অর্জুন পুত্র পবন সিং। যোগদানকারীদের নামের তালিকাও তৈরী করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আগামী সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শ্যামনগরে একটি সভা করতে চলেছেন। সূত্রের খবর, সেই সভাতেই যোগ দিতে পারেন ভাটপাড়ার বিধায়ক সহ বিজেপির একাধিক নেতারা। আর তা হলে, এ রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭০ থেকে ৬৯-এ নেমে আসবে। চারিদিকে গুঞ্জন শুরু হয়েছে যারা তৃণমূলে ফিরবে তাদের নামের একটা লিস্ট অভিষেকের কাছে দিয়েছেন সদ্য বিজেপি ত্যাগী অর্জুন। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অর্জুনকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-র লোকসভা ভোটে উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুর ও বনগাঁ বিজেপির দখলে যায় তবে অর্জুনের দল বদলের ফলে ব্যারাকপুর কার্যত হাতছাড়া হল বিজেপির।
সম্প্রতি, এক সংবাদমাধ্যমে অর্জুন সিং বলেন, ২০২৪-র লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে দলের কাজ করতে হবে, রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল জিতবে বলেও দাবি করেন তিনি। বিজেপির বড়ো বড়ো নেতারা প্রথম থেকেই জানতেন রাজ্যে ক্ষমতায় তারা আসবে না, শুধুমাত্র কিছু মিডিয়ার জন্য বিজেপি এত প্রচার পেয়েছে। ২৩-র পঞ্চায়েত ভোটেও বিজেপি কার্যত সাফ হয়ে যাবে এমনটাই দাবি ভাটপাড়ার ‘বাহুবলী’ অর্জুন সিং এর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জনগণের রায়কে উপেক্ষা করে দলবদলের একটা ট্র্যাডিশন চলছে এরাজ্যে। রাজ্যের শাসক দলের ক্ষমতার দম্ভ নিয়ন্ত্রণে যে মানুষেরা বিরোধীদের ভোট দিয়েছিল, তাঁদেরকে ধোঁকা দেওয়ার মনোভাব খুবই প্রকট হচ্ছে বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের মধ্যে। দিন দিন সেই সংখ্যা বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে, বিজেপির রাজ্য কমিটির কঙ্কাল দশা বেরিয়ে এসেছে। অনেকেই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা ও দিলীপ ঘোষকে ঘিরেও কটাক্ষের সুর শোনা গেছে প্রাক্তন সতীর্থদের কাছে। ফলে দলের অন্দরে ফাটল বারে বারে ফুটে উঠেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন