অনিয়মের অভিযোগে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলিকে জরিমানা জারি করেছিল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)। কিন্তু তারপরেও সেই জরিমানা দেয়নি রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলি। সেই জরিমানা না জমা পড়ায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল এনএমসি। আগামী শিক্ষাবর্ষে কমিয়ে দেওয়া হতে পারে MBBS-এর আসন।
এনএমসি সূত্রে খবর, তাদের দেওয়া সময়ের মধ্যে রাজ্যের সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চালু হয়নি বায়োমেট্রিক হাজিরা। সর্বত্র বসেনি সিসিটিভি ক্যামেরা। যেখানে ক্যামেরা বসেছে সেখানকার লিঙ্ক পায়নি এনএমসি। আপলোড হচ্ছে না দৈনিক অস্ত্রোপচারের তথ্য।
এনএমসি সূত্রে আরও জানা গেছে, চিকিৎসক-অধ্যাপকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু না হওয়া বা সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরা না বসায় কোন মেডিক্যাল কলেজে কতজন চিকিৎসক-অধ্যাপক আছেন, তা জানা যাচ্ছে না। পাশাপাশি, জানা যাচ্ছে না তাঁরা ৭৫ শতাংশ হাজিরা দিচ্ছেন কিনা বা তাঁরা কতক্ষণ ডিউটি করছেন। এছাড়া পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা, আউটডোরে কত রোগী দেখাতে আসছেন, কিছুই জানতে পারছে না এনএমসি।
এই রকম একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুমাস আগে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলোকে জরিমানা জারি করেছিল এনএমসি। জানা গেছে, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের জরিমানা হয় ২৪ লক্ষ টাকা, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ২০ লক্ষ, এসএসকেএমে ১৮ লক্ষ টাকা, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের জরিমানা হয় ১২ লক্ষ টাকা এবং ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের।
সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কলেজগুলি জমা দেয়নি সেই জরিমানার টাকা। এমন কি শাস্তি মুকবের জন্য ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়, সেটাও করা হয়নি। আর যার ফলে এবার কড়া পদক্ষেপ করল এনএমসি। জানানো হয়েছে, সামনে MBBS-এর কাউন্সেলিং থাকায় এখনই কোনও শাস্তি মূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তবে জরিমানার টাকা বা শাস্তি মুকুবের আবেদন না জমা পড়লে আগামী শিক্ষাবর্ষে কমিয়ে দেওয়া হবে MBBS-এর আসন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন