পঞ্চায়েত নির্বাচন যতো এগিয়ে আসছে ততো অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরে। জেলায় জেলায় প্রকাশ্যেই শুরু হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল। এবার কোচবিহারের তুফানগঞ্জে তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পদত্যাগ করলেন দলেরই একাধিক নেতা।
সোমবার তুফানগঞ্জের নাককাটিগাছ এলাকায় দল থেকে ইস্তফা দেন তৃণমূলেরই বুথ সভাপতি সৌমিত্র কর্মকার, নাককাটিগাছের যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব দাস ইস্তফা দেন। তাঁদের সাথে আরও অনেকে দলীয় পদ ত্যাগ করলেন। সঞ্জীব দাস বলেন, অঞ্চল স্তরের উপরের নেতৃত্বের মধ্যেই মতানৈক্য দেখা দিচ্ছে। যার জেরে আমাদের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। আমরা সবাই মিলে একত্রিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে অব্যাহতি দিলাম। যদিও এ বিষয়ে কোচবিহারের তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এই ধরণের খবর আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।
শুধুমাত্র তুফানগঞ্জেই নয়, ২১-র বিধানসভা নির্বাচনে বার বার খবরের শিরোনামে উঠে আসা শীতলকুচিতেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় একটি পার্টি অফিস দখল নিয়ে দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। মূলত তৃণমূলের নয়া অঞ্চল সভাপতির নাম ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা কাজ করছিল। সোমবার তা চূড়ান্ত রূপ নেয়।
লালবাজার অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় গোলাম রব্বানিকে। তিনি ওই পার্টি অফিসে দলীয় কর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। বেরিয়ে আসার সময় তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠী তাঁদের ওপর আক্রমণ চালায়। পার্টি অফিসের চেয়ার টেবিল সবই ভেঙে ফেলা হয়। আহতও হয়েছেন অনেকে।
তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, গোলাম রব্বানি বহুদিন এই অফিসে আসেননি। হঠাৎ কীসের জন্য এখন অফিসে এলেন? তাহলে উনি কি শুধু পদ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন