কোচবিহারে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই ও ডিএসও। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে জেলার একাধিক স্কুল বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্কুলের সামনে পিকেটিং করছে ধর্মঘটীরা। পাশাপাশি গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে এসএফআই।
বুধবারই প্রেস বিবৃতি জারি করে এসএফআই কোচবিহারের তরফ থেকে বৃহস্পতিবার জেলাজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের কথা জানানো হয়। জেলাজুড়ে এই ধর্মঘটে সামিল হওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক-অভিভাবিকা, শিক্ষক, অধ্যাপক সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। তবে ধর্মঘটের আওতায় নেই জেলার কলেজগুলি। কারণ বিভিন্ন কলেজে পরীক্ষা চলছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ধর্মঘট পালন করছে বাম ছাত্র সংগঠন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্মঘটকে কেন্দ্রে করে যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না সৃষ্টি হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই কোচবিহারের কালজানি শাহজাহানউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী (১৪ বছর) নিখোঁজ হয়। ২০ তারিখ থানায় অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। পরে হাসপাতালে খোঁজে মেলে। অভিযোগ, স্কুল থেকে ফেরার পথে ওই ছাত্রীকে একদল দুষ্কৃতী অপহরণ করে গণধর্ষণ করে। গতকাল কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় সেই নাবালিকার।
আর এই মৃত্যু নিয়ে গতকাল সারাদিন রাজনীতি চললো তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। তৃণমূলের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা বিজেপির লোক। পাল্টা সুর চড়ায় বিজেপিও। হাসপাতালের বাইরেই মৃতের বাবাকে ধরে টানাটানি করতে থাকতে তৃণমূল ও বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ পুরো বিষয়টি ধামা চাপা দিতে তৃণমূল ওই নাবালিকার বাবাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন