জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে ত্রাণ নিয়ে ঢুকতে পারলেন বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-র প্রতিনিধিরা। পুলিশ প্রথমে বাধা দিলেও পরে ৫ জনকে গ্রামে ঢোকার অনুমতি দেয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার দলুয়াখাকি গ্রামে টানা ৯ দিন কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনের প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। মঙ্গলবারও প্রথমে এসএফআই-র প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আজ বেশ কিছু ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গ্রামে ঢুকতে যান এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য এবং সভাপতি প্রতীকউর রহমন সহ একাধিক এসএফআই কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে ঢুকতে দেয় পুলিশ।
সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, দলুয়াখাকি গ্রামে বাচ্চাদের বই, খাতা সবকিছু পুড়ে গেছে। লেখা-পড়ার জন্য কিছু নেই। তাই পড়ুয়াদের জন্য খাতা পেন্সিল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশ প্রথমে আমাদের বাধা দেয়। কিন্তু আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ৫ জনকে ঢুকতে দেওয়া যেতে পারে। আমরা গ্রামে যাবো। সেখানে কী রকম পরিস্থিতি আমরা দেখবো।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসএফআই-র প্রচুর কর্মী একসাথে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেই কারণেই বাধা দেওয়া হয়েছিল। সকলেক এই মুহূর্তে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। তাই হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ৫ জনকে দলুয়াখাকি গ্রামে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওই গ্রামে ত্রাণ দিতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জি। তারপরই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন সায়ন ব্যানার্জি সহ মোট ৫ জন ত্রাণ নিয়ে যেতে পারবেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ। সেই নির্দেশ মেনে এসএফআই প্রতিনিধি দলকেও ঢুকতে দিল পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন