শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রায় দেড় বছর হতে চলল। ধসে পড়েছে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা। সব কিছু খোলা, নির্বাচনের মতো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খোলা হয়নি। তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এবার অবিলম্বে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএফআই। আগামী ১৬ এবং ১৭ তারিখ রাজ্যজুড়ে আন্দোলন-কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তারা।
জানা গিয়েছে, স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে বিকাশ ভবন অভিযানও করা হবে। পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলনের পথে হাঁটার হুমকি দিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য।
অন্যদিকে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেরুয়াকরণের প্রতিবাদে উপাচার্যকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিল এসএফআই। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাসের অভিযোগ, 'বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসের পর মাস এক-একটা করে ঘটনা ঘটছে। উপচার্য সম্পূর্ণভাবে আরএসএসের মদতে চলছেন। ছাত্রছাত্রীদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে। নয় মাস ধরে তিনজন সাসপেন্ড হয়ে রয়েছেন।'
তাঁর সংযোজন, 'কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আরএসএসের ঘাঁটিতে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা আন্দোলন করছি। স্মারকলিপি জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি।' কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক, রাজ্যপালকেও চিঠি দেওয়ার পরও কাজ না হলে আন্দোলনের পথেই হাঁটা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
পাশাপাশি, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের বিরোধিতা করে সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, 'পৃথিবীজুড়ে এই এডুকেশন লোন একটা ব্যর্থ হওয়া প্রজেক্ট। আমরা সংগঠন হিসাবে এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সমর্থন করছি না। আমরা বারবার বলেছি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে বেশি করে স্কলারশিপ এবং ফেলোশিপ দিতে হবে।'
পাশাপাশি প্রবেশিকা পরীক্ষা প্রসঙ্গে বলেন, 'সরকার বলেছে কোথাও প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে না। আমরা প্রবেশিকা পরীক্ষার পক্ষে। উচ্চমাধ্যমিক না হওয়ায় এবার প্রবেশিকা হওয়া খুবই দরকার ছিল।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন