গোরু পাচার কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তাতে সাক্ষী হিসেবে নাম রয়েছে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের নাম। এমনটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূলের অন্দরে কার্যত চাপানউতোর শুরু হয়ে গেছে।
আসানসোলে সিবিআই-র বিশেষ আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের নামে চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ৩৫ পাতার চার্জশিটে দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯, ১২০বি, ৪২০, ৭, ৯, ১১, ১২, ১৩(২), ১৩(১)(ডি) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ৩৫ পাতার চার্জশিটে ৯৫ জন সাক্ষীর নামও উল্লেখ করেছে সিবিআই। তাতেই নাম রয়েছে শতাব্দী রায়ের। ৪৬ নম্বরে তৃণমূল সাংসদের নাম আছে। শতাব্দী রায় ছাড়াও একটি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার সহ অন্যান্য সংস্থার আধিকারিকের নামও রয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬০ নম্বর ধারায় (Criminal Procedure) তৃণমূল সাংসদকে নোটিশ পাঠানো হয়। তদন্তে সাক্ষী হিসাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬১ নম্বর ধারা অনুযায়ী শতাব্দী রায়ের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই।
উল্লেখ্য, শতাব্দী রায় ও বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার সম্পর্কে খুব একটা ভালো নয় সেটা অনেকেই জানেন। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল শতাব্দী রায়ের নামে তৈরি একটি ফেসবুক পেজ। সেখানে বলা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে দুজনের সম্পর্কের বরফ কিছুটা গলতেও দেখা যায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির গ্রেফতারির পর। শতাব্দী রায়কে বলতে শোনা যায়, তাঁরা অকৃতজ্ঞ নন। বিপদের সময় অনুব্রত মণ্ডলের পশেই তিনি আছেন।
চার্জশিটে সাক্ষীদের নাম ছাড়াও আরও তথ্যের উল্লেখ করেছে সিবিআই। সেগুলি হল, সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তি সহ ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট। শুধু অনুব্রতর নামেই রয়েছে ৫৩টি দলিল এবং ২৫টি বেনামি দলিল যার প্রায় বেশিরভাগই রয়েছে তাঁর পরিবারের নামে। তিনটি চালকলের পাশাপাশি একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য। গোরু পাচারকারীদের পাচারকার্যে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করতেন অনুব্রত। গোরু পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের সাথে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের কথোপকথন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন