গোরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-র চার্জশিট সাক্ষী হিসেবে নাম রয়েছে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের। এই নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শতাব্দী রায়। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগই নেই! এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী।
অনুব্রত মণ্ডলের নামে ৩৫ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তাতে দেখা যায় সাক্ষী হিসেবে নাম রয়েছে শতাব্দী রায়ের। গত দু’দিন ধরে যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে ছিল। এদিন সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন শতাব্দী রায় নিজেই। তিনি বলেন, তিনি সিবিআই-র কাছে অনুব্রতর বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি জানেন না কেন তাঁর নাম চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তাঁর কোনো অভিযোগ নেই।
তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, সিবিআই আধিকারিকেরা একটি ফোন নম্বর তাঁকে দেখান। সেই নম্বর থেকে তিনি কাদের সাথে কথা বলেছিলেন তা জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু শতাব্দী রায় জানান ওই ফোন নম্বরটি তিনি ব্যবহার করেন না।
৩৫ পাতার চার্জশিটে ৪৬ নম্বরে তৃণমূল সাংসদের নাম আছে। শতাব্দী রায় ছাড়াও এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার সহ অন্যান্য সংস্থার আধিকারিকের নামও রয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬০ নম্বর ধারায় (Criminal Procedure) তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে নোটিশ পাঠানো হয়। তদন্তে সাক্ষী হিসাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬১ নম্বর ধারা অনুযায়ী শতাব্দী রায়ের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই।
শতাব্দী রায় ও বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার সম্পর্কে খুব একটা ভালো নয় সেটা অনেকেই জানেন। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল শতাব্দী রায়ের নামে তৈরি একটি ফেসবুক পেজ। সেখানে বলা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে দুজনের সম্পর্কের বরফ কিছুটা গলতেও দেখা যায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির গ্রেফতারির পর। সেটা যে ফের একবার প্রমাণ করলেন শতাব্দী রায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন